জুলফিকার Ali কন্টাই – পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দেশপ্রাণ ব্লকের ইয়াস দুর্যোগ ও জলোচ্ছ্বাসের ফলশ্রুতিতে সমুদ্র উপকূল বর্তী ও রসুলপুর নদীর কূলবর্তী অামতলিয়া, অাউরাই,বসন্তিয়া, দারিয়াপুর ও বামুনিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন মৌজায় জমা জলে দূষণে সামাজিক স্বাস্থ্য চরম সঙ্কটে। বিশেষ করে শুনিয়া,উমাপতিবাড়, কুলঞ্জরা,বাহার ছনবেড়িয়া, ঘোড়াঘাটা,ফুলবাড়ী,কশাফলিয়া, উত্তর অামতলিয়া, কালুয়া,পূর্ব অামতলিয়া, শ্যামচক,দক্ষিণ অাড়িয়া,পেটুয়া,কানাইচট্টা,বাকীপুট, ভোগপুর,দক্ষিন কাদুয়া প্রভৃতি মৌজায় জমা জলে দূষণ ও ফসল,মৎস্য চাষ,পানবরোজ, গবাদিপশু ইত্যাদি ক্ষয়ক্ষতি তে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। দেশপ্রাণ ব্লকের কৃষি কাজ,মৎস্য চাষ,গবাদিপশু, ঘরবাড়ি, উদ্যান পালন সম্পর্কিত ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জেলা সফররত কৃষি মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোঅরডিনেটর তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন। মামুদ হোসেন কৃষি মন্ত্রী কে স্মারকলিপি প্রদান করে বলেন জমা জল নিষ্কাশনের অাশু ব্যবস্হা গ্রহণ না করলে অাসন্ন বর্ষা মরশুমে অাবার প্লাবনে সমূহ এলাকা ভেসে যাবে।নোনাজলে অামন চাযের সম্ভাবনা নেই বললেই। পর্যাপ্ত ব্লিচিং বা জলশোধনের বিজ্ঞান সম্মত ব্যবস্হা গ্রহণ না করলে কলেরা,অান্ত্রিক গোলযোগের ভয়াবহ অবস্থা অনিবার্য পরিণতি হিসেবে দেখা দিবে।পানীয়জলের সঙ্কটে সাধারণ মানুষের জেরবার অবস্থা। ত্রিপল,খাদ্য সামগ্রী, ৬ দফা ক্ষতিপূরণ প্রদানের পাশাপাশি জমাজল পাম্প দিয়ে নিষ্কাশন,পানীয়জল সরবরাহ, কমিউনিটি স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করন, জলদূষণ রোধ,নোনাধরা মাটির শোধন করা,বানভাসি ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করার অাবেদন রাজ্য সরকারের কৃষি মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় কে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোঅরডিনেটর তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন।