ধৃতিমান বড়ুয়া – হাইকোর্টের অর্ডার অনুযায়ী বদ্রিনাথ মন্দিরে প্রতিদিন ১০০০ পুণ্যার্থী, কেদারনাথ মন্দিরে ৮০০, গঙ্গোত্রীতে ৬০০ এবং যমুনোত্রী মন্দিরে ৪০০ পুণ্যার্থীর প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন। উত্তরাখণ্ড সরকার এবং চার ধাম ম্যানেজমেন্ট কমিটি সংক্রমণ রুখতে করোনা বিধি মেনে প্রয়োজনীর সমস্ত পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে। চার ধাম বোর্ডের রবিনাথ রমন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন, থার্মাল চেকিং , স্যানিটাইজেশন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। পুণ্যার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এছাড়া চার ধাম বোর্ডের নির্দেশানুসারে প্রতি পুণ্যার্থীর সঙ্গে negative RT-PCR report এবং করোনা টিকার দুটি ডোজের সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক। *পুণ্যার্থীদের আগে থেকেই মন্দিরে প্রবেশের ই-পাস সঙ্গে রাখতে হবে।
www.devasthanam.uk.gov.in. ওয়েবসাইটে লগ ইন করে ই-পাস সংগ্রহ কর যাবে। সেখানে সরকারের দেওয়া আইডি কার্ড এবং negative RT-PCR রিপোর্ট এবং দুটি ডোজের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট আপলোড করতে হবে।বলা হয়েছে, শিশু এবং অসুস্থ বর্ষীয়ান কোনও ব্যক্তিকে তীর্থ যাত্রায় অংশ অনুমতি দেওয়া হবে না।
জেনে রাখুন:
৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই তীর্থ যাত্রার অনুমতি মিলবে।
*তিনজন করে পুণ্যার্থীকে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
* কেউ কোনও পবিত্র জিনিষে ভুলেও হাত দেবেন না।
*সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে মন্দিরের ঘণ্টায় হাত দেওয়া নিষেধ।
কিভাবে যাবেন:
‘দেখো আপনা দেশ’ – প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এবার চার ধাম যাত্রার জন্য স্পেশাল ট্রেন লঞ্চ করেছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং
অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন। এই ডিলাক্স এসি ট্রেনটিই চার ধাম নিয়ে যাবে।
কিভাবে যাত্রা শুরু হবে এবং দর্শনীয় স্থান দেখার ব্যবস্থা:
১৮ সেপ্টেম্বর দিল্লির সফদরজং স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু হবে ডিলাক্স ট্রেনটির। প্রথমে এটি যাবে বদ্রীনাথ, যেখানে বদ্রীনাথ ছাড়াও মানা গ্রাম (ভারত-চিন সীমান্ত)। এখান থেকে ঋষিকেষ ঘুরে দেখার সুযোগ থাকবে। এরপর পুরীতে ট্রেন পৌঁছাবে। যেখানে পুরীর মন্দির দর্শনের পাশাপাশি পুরীর সমুদ্র সৈকত, চন্দ্রভাগা সমুদ্র সৈকত, কোনারকের সূর্য মন্দির দেখিয়ে রামেশ্বরমের উদ্দেশে রওনা দেবে ট্রেনটি। রামেশ্বরমের পাশাপাশি ধনুসকোডি, নরসিংহ মন্দির (জোশিমঠ), দ্বারকাধিশ দেখানো হবে।