শান্তি রায়চৌধুরী: কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি একাধিক টানেলের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডকড়ি জানান,  কাশ্মীর ও লাদাখের মধ্যে যোগাযোগের সময় কমাতে জোজিলা টানেল তৈরি করছে ভারত। প্রায় সাড়ে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেল এশিয়ার দীর্ঘতম ।

শীত থেকে শুরু করে সব মৌসুমে যাতে কাশ্মীর ও লাদাখের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা অক্ষুন্ন থাকে তার জন্যই এই জোজিলা প্রকল্পে টানেল তৈরি হচ্ছে। ২০২৪ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এ প্রজেক্ট সম্পূর্ণ হলে জোজিলা হবে ভারতের দীর্ঘতম টানেল। এছাড়া বাই ডিরেকশনাল টানেল অর্থাৎ দুই দিকেই যাতায়াত করা যায় এমন টানেল হিসেবে এশিয়ার দীর্ঘতম হবে এই জোজিলা টানেল। একাধিক সেতু তৈরি হচ্ছে এ রুটে।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ১১ হাজার ফুট উপরে জোজিলা। এখানে প্রতি বছর শীতের মৌসুমে তাপমাত্রা এতটাই নিচে নেমে যায় যে ১৫/২০ ফুট বরফের স্তর জমে যায়। যার জেরে নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ মাস সড়কপথে লে লাদাখ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এমনকী ওই এলাকায় বসবাসকারী মানুষ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেয়।

এবার সেই সমস্যা মিটবে। সেই সঙ্গে সাড়ে ৩ ঘণ্টার পাহাড়ি পথ পার হওয়া যাবে মাত্র ১৫ মিনিটে। তাছাড়াও বিশেষ সুবিধা হবে কাশ্মীর ও লাদাখের সাধারণ মানুষ, ভূ-স্বর্গে বেড়াতে আসা পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের।

Loading