নিজস্ব প্রতিনিধি –  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন বাংলাদেশ সফরের সময়ে গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের আদি ধর্মস্থানে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

ওড়াকান্দি হচ্ছে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা কয়েক কোটি মতুয়ার কাছে সম্প্রদায়টির প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের ‘লীলাক্ষেত্র’।

সে রকম একটি ধর্মীয় স্থানে মোদী এমন একটা সময়ে যেতে পারেন, যার একদিন পর থেকেই শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন। তিনি মতুয়াদের মন জয় করতেই চলতি মাসে আরও পরের দিকে সেখানে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

“প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদের আদি পীঠস্থানে যান, তার একটা প্রভাব তো এখানকার রাজনীতিতে পড়বেই,” বলছিলেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের একটি অংশের সঙ্ঘাধিপতি ও বিজেপির সংসদ সদস্য শান্তনু ঠাকুর।

“প্রধানমন্ত্রী কেন, কোনও স্তরের মন্ত্রীই সেখানে কোনদিন যাননি। ওড়াকান্দি মতুয়াদের কাছে একটা আবেগের জায়গা।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে পশ্চিমবঙ্গের এবারের নির্বাচনে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে।

একদিকে যেমন মতুয়াদের একাংশ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন, অন্যদিকে এবার লড়াই এতটাই হাড্ডাহাড্ডি হবে বলে মনে করা হচ্ছে যে মতুয়া ভোট অনেক আসনেই নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে।

তাই মতুয়াদের মন জয় করাটা বিজেপির কাছে বিশেষ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতার সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক অরুন্ধতী মুখার্জী।

“এবারের নির্বাচনেই দেখছি ছোট ছোট সম্প্রদায় বা জনগোষ্ঠীর ভোটের জন্য কী তৃণমূল কংগ্রেস কী বিজেপি – দু’পক্ষই উঠে পড়ে লেগেছে। বিজেপির দেওয়া প্রতিশ্রুতিমতো নাগরিকত্ব আইন চালু না হওয়ায় মতুয়াদের একটা বড় অংশ হতাশ হয়ে পড়েছে।

”তাই নিশ্চিতভাবেই ভোটের আগে তাদের মন জয় করার একটা চেষ্টায় ওই ধর্মীয় তীর্থস্থানে প্রধানমন্ত্রীর যাওয়া,” বলছেন অরুন্ধতী মুখার্জী।

বিজেপি সংসদ সদস্য শান্তনু ঠাকুরও মেনে নিলেন যে নাগরিকত্ব আইন চালু না হওয়ায় মতুয়াদের মধ্যে একটা হতাশা তৈরি হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেটা অমিত শাহ-র সাম্প্রতিক সফরে মতুয়াদের প্রধান কেন্দ্র ঠাকুরনগরে এসে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মাধ্যমেই কেটে গেছে।

 178 total views,  2 views today