নিজস্ব প্রতিনিধি – এবার ধর্মের রাজনীতি নিয়ে বাম-কংগ্রেসকে পালটা বিঁধলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য । রবিবার ব্রিগেড ও আব্বাস সিদ্দিকিকে সমর্থন নিয়ে বাম-কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন বিজেপি নেতা। দু’দলই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে আক্রমণ করলেন তিনি। শমীকের আক্রমণ, “এই মঞ্চ থেকে ইনকিলাব জিন্দাবাদ শুনলাম। কিন্তু একবারও বন্দেমাতরম শুনলাম না।”

বাংলার শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি ধর্মের তাস খেলছে বলে সরব হয়েছে বাম-কংগ্রেস ও তৃণমূল। এবার সেই ইস্যুতেই তিন দলকে একযোগে বিঁধলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, “আব্বাসের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কাছে মাথা নত করেছে বাম এবং কংগ্রেস নেতারা। আর তাদের ইন্ধন দিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও।” শমীকের প্রশ্ন. “বিজেপির রাজনীতিকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বলেন এঁরা। তাহলে আব্বাসের রাজনীতিটা কী?” এর পরই তাঁর হুঁশিয়ারি, “বাংলার মানুষ সব দেখছে। তাঁরাই সবটা বিচার করবেন।” বন্দেমাতরম ইস্যুতে শমীকের খোঁচা. “বাম জমানায় ওদের (কংগ্রেস) ১০ হাজার কর্মী খুন হয়েছে। তার পরেও মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইনকিলাব জিন্দাবাদ স্লোগান দিলেন দলের (কংগ্রেস) নেতারা। অথচ ব্রিগেড সমাবেশ থেকে একবার বন্দেমাতরম ধ্বনি উঠল না।”

এখানেই থামেননি পোড়া খাওয়া এই বিজেপি নেতা। আব্বাস সিদ্দিকির দলকে সমর্থনের ফল মারাত্মক হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “ধর্মনিরপেক্ষতার নামে একটা আপাদমস্তক সাম্প্রদায়িক দলের জন্য রাজনৈতিক মাটি তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে এ রাজ্যে। বাম-কংগ্রেস গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ের স্মৃতি ফিরিয়ে আনার চক্রান্ত করছে।” রাজ্যে ফের ধর্মীয় হিংসা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন শমীক।

বিজেপির এই নেতার ভবিষ্যদ্বাণী, “এ রাজ্যে তৃণমূল যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করবেন আব্বাস। সেই সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন আব্বাস। তখন এই আব্বাসই বলবেন, আমরা তো বিজেপি বিরোধী। তাই জোট করলাম।” সবমিলিয়ে ব্রিগেড সমাবেশের পর আব্বাস ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বাম-কংগ্রেসকে আরও একবার সাবধান করে দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

Loading