কবিতা – নেই অভিমান
কলমে ও কন্ঠে – কল্যাণ কুমার সাউ
গ্রাম+পোস্ট:ধলভূমগড়. জেলা:পূর্ব সিংহভূম, ঝাড়খন্ড,পিন:৮৩২৩০২
শুনছো আমি নদী, তুমি তো সমুদ্র, তোমাকে করি একটি প্রশ্ন?
তুমি এতো বৃহৎ, এতো গভীর, আমার যে তোমার সম্মুখে নেই কোনো মূল্য,
তোমার গর্ভে রয়েছে কত জীব, কত মূল্যবান রত্ন।
আমি যখন ছিলাম একাকী, বইতাম নিজের স্রোতে কল কল রবে,
কত ছিলো গর্ব, অহংকার নিজ মনে।
হ্যাঁ, আমিই সমুদ্র, নম্র নিবেদনে বলি তোমায় তবে ধ্যান দিয়ে শোনো,
রয়েছে আমার গভীরতা, নেই কোনো সন্দেহ এতে,
কতটা গভীর হয়তো জানেনা বিজ্ঞান বর্তমানে।
মূল্যবান রত্ন গর্ভা আমি যে সমুদ্র, জীবের সংখ্যা কত আছে সম প্রায় নক্ষত্র।
কিন্তু জানো কি তুমি, এতো হয়েও জল নেই পানের যোগ্য,
আমার নোনা জলে লোকে হয় না যে তৃপ্ত।
কিন্তু হে সমুদ্র আমাদের সমাগম তো তোমার হৃদয়ে, শত সহস্র আমার মত মিষ্টি নদী, নিয়েছে আশ্রয় শেষে তোমার কোলে,
তোমার এক গর্জনে ভূতলে হয় কম্পন, ত্রাহি মাম হয় ধরণীর হৃদয়ে।
সবার থাকে গুন অবগুন, থাকেনা জগতে কারো সর্বগুন,
আমার গর্জনে কম্পিত অনেকে, মুর্ছিত হয় তরঙ্গের ঢেউয়ে।
কিন্তু নেই আনন্দ তাতে,
অভিভূত হয় প্রাণ, যখন সবাই লাফালাফি করে আনন্দে,
হর্ষ উল্লাসে মাতহারা হয়ে তরঙ্গের সাথে।
নম্র হয়ে ফিরিয়ে দিয়ে থাকি তাই, আনন্দে যারা ছুঁড়ে ফেলে আমার গভীর জলে।
ধন্য তুমি দেব, ধন্য তোমার হৃদয়, ধন্য হয়েছে ধরা, সফল তোমার জীবন,
চারিদিকে শুধু তোমার বাস, নেই তবু মনে একটু অভিমান, সমাজে যদি সবাই এমনি রাখতো সবার মন।।