নিজস্ব প্রতিনিধি – আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর সাবেক আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর শতাধিক সদস্যকে হত্যা অথবা উধাও করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। তালেবানের বিরুদ্ধে যা জানাল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, তালেবান সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেও তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি সাবেক অনেক সেনা ও পুলিশ সদস্য। তালেবানের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ‘সুচিন্তিত’ হত্যাকাণ্ডকে ‘ক্ষমা’ করার অভিযোগ করেছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফগানিস্তানের গজনি, হেলমান্দ, কুন্দুজ ও কান্দাহার- এই চার প্রদেশে ১০০ জনের বেশি জনকে অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে হত্যা কিংবা গুম করেছে তালেবান। সম্প্রতি তালেবানের একজন মুখপাত্র ‘হত্যার বদলে হত্যা’র অভিযোগ অস্বীকার করেন।

গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করায় ২০ বছর পর আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। আর দেশটির সরকারপ্রধান আসরাফ গনি দেশ পলায়ন করেন।

তালেবানরা সাবেক সরকারি কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন যে তারা যদি আগে কোনো পুলিশ, সেনা ও রাষ্ট্রের অন্য বাহিনীকে সহাযোগিতা করে, তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হচ্ছে এবং তারা তালেবানের কাছে নিরাপদ।

কিন্তু সেই ‘প্রতিশ্রুত ক্ষমা’ করা নিয়ে সন্দেহ উঠেছে। অতীতে তালেবানের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনী ও সুশীল নাগরিকদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর তাদের প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল নারী শিক্ষা। নারী ও মেয়েদের স্কুল কলেজে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার কথা বললেও এখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেন না দেশটির নারীরা। সবশেষ কয়েকদিন আগে স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দিলেও এখনো অনিশ্চয়তায় ভুগছেন সেখানকার নারী শিক্ষার্থীরা।

তালেবান আমলে আফগানিস্তানের স্বাস্থ্যব্যবস্থারও চরম অবনতি ঘটেছে। দেশটিতে অপুষ্টিজনিত সমস্যা প্রকট হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে অপুষ্টিতে ভোগা শিশু ভর্তির সংখ্যা। আফগানিস্তানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

তালেবান আফগানিস্তান দখলের পর ভবিষ্যত অন্ধকার বলে মনে করছেন আফগানরা।

Loading