বর্তমানে জীবনযাত্রার পরিবর্তনে প্রতি পাঁচজনে একজন কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। এই ক্রনিক সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে মৃত্যুও হতে পারে। এ কারণে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে খাবারের ব্যাপারে বিধিনিষেধ থাকা প্রয়োজন।

  • অনেক সময় উচ্চ কোলেস্টরলে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কী খাবেন আর কী খাবেন না, তা নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন। যেমন- কোলেস্টেরলে কি মাখন খাওয়া উচিত কি উচিত নয় তা নিয়ে রয়েছে বিভ্রান্তি। এই নিয়ে ভারতীয় পুষ্টিবিদ পুজা জয়সওয়াল নানা তথ্য জানিয়েছেন ‘এই সময়ে’র এক প্রতিবেদনে।

  • পুষ্টিবিদ পুজার মতে,উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগীদের স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এ তালিকায় প্রথমেই যে নামগুলি আসে সেগুলি হল রেড মিট, ডালডা বনস্পতির মতো জিনিস। এতে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএলে’র মাত্রা বেড়ে যায়।

  • পুষ্টিবিদ পুজা জয়সওয়াল বলছেন, কোলেস্টেরলের মাত্রা রক্তে বেশি থাকলে মাখন খাওয়া একেবারেই ঠিক নয় ।

  • রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়া মানেই বিপদ। পুষ্টিবিদদের মতে, রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ডায়েটে রাখতে হবে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। খাদ্যতালিকায় ফল, সবজির পরিমাণ বাড়লেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল। কারিপাতা, আপেল, অ্যাভোকাডো, বেদানার মতো খাবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

  • কোলেস্টেরল বাড়লে শরীরে দেখা দেয় একাধিক উপসর্গ। যেমন- অস্থির লাগে, আচমকা রক্তচাপ বেড়ে যায়, শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, হার্টবিট বেড়ে যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে বমিও হতে পারে। এছাড়া অনেকে সারাদিন ক্লান্তি ও অবসাদে ভোগেন। এমন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

__________________________________________________________

 

 

 

__________________________________________________________

__________________________________________________________

 

 

 

 

 

 

 

 

  

Loading