‘সকলের তরে সকলে আমরা’ এই রকমই এক মনোভাব নিয়ে সমাজের নব নতুনের আবির্ভাব ঘটল হিউম্যান রাইটস ফোর্স-এর। হুগলী জেলার ভগবতীপুরে ইছা মাস্টারের সভাগৃহে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংস্থার পথ চলা শুরু হল। সংস্থার মূল উদ্দেশ্য মানুষের পাশে থেকে কাজ করা। ওই মহতি অনুষ্ঠানে সংস্থার স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করেন মান্যবর পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী।
ত্বহা সিদ্দিকী বলেন, এই সংস্থা মানুষের পাশে থাকার যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েছে তার জন্য কর্মকর্তাদের সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সংস্থার কর্মকর্তারা যেন মানুষকে সঠিক পরিষেবা দেন। পদাধিকারী ব্যক্তিরা ক্ষমতাবলে মানুষকে যেন না ঠকায়। তাহলে সংস্থার দুর্নাম ছড়িয়ে পড়বে এবং সেই দুর্নামের ক্ষত সারিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাবে। তাই তিনি কমিটির উপর জোর দিয়ে বলেন, যাচাই করে সদস্যপদ দিন। এতে সংস্থা মজবুত হবে। তিনি সংস্থার কর্মকর্তাদের শপথ বাক্য পাঠ করে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
হিউম্যান রাইটস ফোর্স-এর চেয়ারম্যান সেখ মোফাজ্জেল বলেন, সর্বস্তরের মানুষকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা পথ চলা শুরু করেছি। আমরা সমাজবদ্ধ জীব। তাই সামাজিক কাজকর্ম করে মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকারে দৃঢ় সংকল্প নিয়েছে সংস্থা। কোনো অবস্থাতে আমরা পিছিয়ে যাব না। আমাদের কাজ হবে অসহায়দের পাশে থাকা। যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করা।
সঞ্চালক, শিক্ষক দেবাশীষ গোলুই বলেন, সাধারণ মানুষ সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে। আমরা চাই অসহায়দের সাহায্য ও সহযোগিতা করা। সে কারণেই প্রথমেই স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়েই সংস্থার পথ চলা শুরু হল।আলজিলানী জুয়েলার্স-এর কর্ণধার ও সংস্থার সভাপতি সেখ সামসুদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শীত বস্ত্র দিয়েই আমরা পথ চলা শুরু করছি। আগামীতে রক্তদান শিবির করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন চিকিৎসক আনসার আহমেদ মল্লিক, সাহা আলম মন্ডল, দীপঙ্কর ধ্যাং, জয়দেব চক্রবর্তী, শিক্ষক সুমন্ত মুখার্জী প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রুবেল আহমেদ মল্লিক, বিশ্বজিৎ মান্না, সেখ সিরাজুল, কলিউল্লা সর্দার, শিক্ষক নুরুদ্দিন,চিকিৎসক আব্দুল রাজ্জাক,সেখ তৌফিক, সেখ আব্দুল কাদের প্রমুখ।
ওই অসহায় দুস্থ্য ৬০০ জন ব্যক্তিকে শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়। ওই দিনই অক্সিজেন সিলিন্ডার, নেবুলাইজার মেসিন, সুগার পরীক্ষা, অক্সিমিটার ইত্যাদি উদ্বোধন করা হল।