আমার রবীন্দ্রনাথ
কলমে ✍️: সুমিতা পয়ড়্যা
কল্যাণী, নদীয়া
অমর দীপ্তিতে যিনি পূর্বপারের বহ্নিশিখায় জাজ্জ্বল্যমান
তিনি আমার প্রাণের ঠাকুর রবি ঠাকুর।
আমার রবীন্দ্রনাথ।
আমার আলো আমার পথের দিশা
মনের সব গ্লানি মুছে যায় তাঁর তানে
হৃদয় জুড়ে শুধু বাজে সুরের বাণী।
যত বিপন্নতা, যত অন্ধকার, যত ব্যথা,শোক
জীবনে চলার পথে এক অনন্য আলোর দিশারী।
শুধু বৈশাখে নয় জীবনভর তাঁর বিচরণ।
নিঃস্বতায়, দারিদ্রতায়,প্রলয় ঝড়ে—
অপেক্ষায়, অনুভূতিতে,প্রেমের জোয়ারে—
আকাশে বাতাসে কান পাতলে সেই পূর্ণতার সুর।
যখন ভয়, এক ভয় কাজ করে জীবনের শূন্যতায়
সেখানেও অন্তঃপুরের গোপনে হৃদয়ে পূর্ণতায়।
আমার রবীন্দ্রনাথ মানবতার প্রতীক ; কাব্য দর্শনে তাঁর সত্তা পরতে পরতে
জীবনের প্রত্যহিকতায় বিশ্ব প্রেমের শ্রেষ্ঠ প্রেমিক কবি—
এক অমরতা; এক মহিরুহ প্রতিভার চূড়ামণি।
প্রতিবাদে, মানববন্ধনে, ভালোবাসায় যেমন তাঁর বাঁধন
তাঁর উদয়,ভাবনা,সংস্কার তেমনই এক সার্থক রূপের সাধন।
জীবনের এক জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি—জীবন্ত প্রাণ!
একাধারে তিনি ঠাকুর, তিনি সহজপাঠ, তিনি বিশ্বকবি
তিনি ধরার শ্রেষ্ঠ রত্ন ;তিনিই নতুন যুগের রবি।
যুগে যুগে রবিতেই বৃত্ত যাপন!
যেন এক বৈশাখ থেকে আরেক শ্রাবণের গান!
জীবনের সকল চেতনায়, উদাসী আনমনে অরূপের মাঝে রূপের খোঁজ।
নোবেলে বিশ্বজয়; প্রকৃতি প্রেম ঈশ্বরময়
সাধক সাহিত্য উন্মাদনায় ;সৃষ্টি শিল্পময়!
অসীম সৃষ্টিতে তাঁর তুলনা তিনিই স্বয়ং।
জীবনের অমৃত; প্রতিদিনের দিনলিপির চিন্তায় চেতনায় জাগ্রত আমার রবীন্দ্রনাথ।