শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকার কারনে ত্বক শুষ্ক হয়ে আসে। যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের জন্য খুব বেশি সমস্যা না হলেও শুষ্ক ত্বকের অধিকারীরা ভোগান্তিতে পোহান। ত্বক টানটান করা থেকে শুরু করে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। এ সমস্যা থেকে সমাধান পেতে মেনে চলতে পারেন এই নিয়মগুলো-
গরম পানি দিয়ে গোসল পরিহার
শীতকালে গরম পানি দিয়ে গোসল আরামদায়ক মনে হলে ও ত্বককে শুষ্ক করার জন্য দায়ী এই গরম পানি।
গরম পানি ত্বক থেকে তেল শুষে নিয়ে ত্বককে অমসৃণ ও শুষ্ক করে তোলে। ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা দূর করতে কুসুম গরম পানি ব্যাবহার করতে পারেন এবং গোসলের সময় কমাতে হবে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
ত্বকের শুষ্কতা কমাতে ময়েশ্চারাইজারেরজুড়ি নেই। যেসব ময়েশ্চারাইজারে হায়ালোরনিক অ্যাসিড, সেরামাইড, গ্লিসারিনের মতো উপাদান রয়েছে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
গোসলের পরপর এবং মুখ ধোয়ার পরপরই এটি ব্যাবহার ত্বকের শুষ্কতা কমাবে। এছাড়া রাতে ঘুমানোর আগে শরীরে লোশন বা বডি বাটার লাগালে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যাবে।
ত্বক এক্সফোলিয়েশন
এক্সফোলিয়েশন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শরীরের মরা কোষগুলো দূর করা হয়। শরীরের মরা কোষগুলো ত্বককে রুক্ষ করে তোলে।
এজন্য কেমিক্যাল বা ফিজিকাল যেকোনো ধরনের এক্সফোলিয়েটর ব্যাবহার করতে পারেন। এসময় সপ্তাহে একবার বা দুইবার এই প্রক্রিয়া শরীরে মরা কোষ জমতে দেয় না। ফলে ত্বক মসৃণ থাকে।
ভিটামিন ‘সি’ এবং রেটিনল সিরাম
ভিটামিন ‘সি’ তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলাজেন উৎপাদন করে ত্বককে ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে। অন্যদিকে রেটিনলে থাকা ভিটামিন ‘এ’ ত্বকের শুষ্কতা কমানোর পাশাপশি ত্বকের বলিরেখা ও কমায়।
এজন্য রাতে ত্বকের যত্নে ভিটামিন ‘সি’ ও রেটনলযুক্ত সিরাম ব্যাবহার করতে পারেন।
পর্যাপ্ত হাইড্রেশন
ত্বককে শুষ্কতা থেকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত হাইড্রেশনের বিকল্প নেই। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করতে হবে। এতে ত্বক ভেতর থেকে হাইড্রেটেড হয় এবং ত্বক শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।
__________________________________________________________
__________________________________________________________
__________________________________________________________