নিজস্ব প্রতিনিধি – হেডব্যান্ড ব্যবহারকারীর মস্তিষ্কের তরঙ্গ পরিমাপ করে থাকে। হেডব্যান্ড ব্যবহারকারীর মস্তিষ্কের তরঙ্গ পরিমাপ করে থাকে। মাথাব্যথা দুশ্চিন্তা এইসকল সমস্যা থেকে মুক্তি চান অনেকেই। এই বিষয়ে সাহায্য করার জন্য যদি কোনো পণ্য থাকে সেক্ষেত্রে সেটির বিষয়ে মানুষের বিশেষ আগ্রহ হবে সেটিই স্বাভাবিক। স্মার্ট হেডফোনের প্রতি মানুষের আগ্রহ সেই বিষয়টিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপের মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে এই স্মার্ট হেডফোন। এই স্মার্ট হেডফোনগুলো হচ্ছে নিউরো ফিডব্যাক টাইপ। এগুলোকে বলা হচ্ছে ইইজি (ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাম) ডিভাইস । এই হেডব্যান্ড ব্যবহারকারীর মস্তিষ্কের তরঙ্গ পরিমাপ করে থাকে। দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মস্তিষ্ক থেকে বেশি পরিমাণে তরঙ্গ প্রবাহিত হয়। কারণ এই ধরনের মস্তিষ্কে ইলেকট্রিক্যাল অ্যাকটিভিটি বেশি হয়ে থাকে। মেডিটেশনের সহায়তায় এই হেডব্যান্ড ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ অবস্থা মুক্ত হতে পারে। কি কি করলে মস্তিষ্কে দুশ্চিন্তার তরঙ্গ প্রবাহ কমে যাবে তার একটা নির্দেশনা পাওয়া যায় এই ডিভাইস থেকে। এই স্মার্ট প্রযুক্তি পণ্যটি তৈরি করেছে ব্রেইন কো কোম্পানী। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে কোম্পানীটি অবস্থিত। ব্রেইন কো এর প্রেসিডেন্ট ম্যাক্স নিউলন বলেন, এই হেডব্যান্ড এআই সফটওয়্যার অ্যালগরিদম ব্যবহার করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে গ্রাহকদেরকে দারুণ সেবা দিচ্ছে এই স্মার্ট হেডফোন। এর আগে ২০১৪ সালে এসেছিল স্মার্ট হেডব্যান্ড –দ্য মিউজ। এটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ক্যানাডিয়ান কোম্পানী ইনটেরাক্সন।ইনটেরাক্সনের চীফ এক্সিকিউটিভ ডেরেক লুক জানান, গ্রাহকদের তাদের পণ্যের বিষয়ে প্রতিনিয়তই আগ্রহ বাড়ছে। তারা নিজেদের পণ্যের মান বাড়ানোর জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। ইউকে ক্লিনিক্যাল এন্ড ফরেনসিক সাইকোলজিস্ট,ড. নাওমি মারফি জানান, এই সকল নিউরোটেক সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সান্ড্রা ওয়াচটার এবং বিশেষজ্ঞ নিউরোলজিস্ট ড. স্টিভ অলডার প্রায় একই ধরনের মতামত ব্যক্ত করেন।