নিজস্ব প্রতিনিধি – জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সব পক্ষকে শামিল করলে যে সুফল পাওয়া যায়, ভারতে এক প্রকল্প হাতেনাতে তা দেখিয়ে দিচ্ছে। পতিত জমিতে বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষও উপকৃত হচ্ছে।
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে নারীরা স্থানীয় গাছের চারা লাগাচ্ছেন। এটা শুধু কোনো পুনর্বনায়ন প্রকল্প নয়। তারা এমন জায়গায় চারা লাগাচ্ছেন, অনুর্বর জমি হিসেবে যা সাধারণত খালি থাকে। ‘ফার্মার্স ফর ফরেস্টস’ নামের সংগঠন এমন পতিত জমিকে জঙ্গলে পরিণত করার আইডিয়া কার্যকর করছে। ‘ফার্মার্স ফর ফরেস্টস’ সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আরতী ধর বলেন, ‘‘জঙ্গলের কথা ভাবলে সেটিকে শুধু কার্বন সংরক্ষণের পাওয়ারহাউস হিসেবে ভাবলে চলবে না। জঙ্গল গোটা ইকোসিস্টেমের জন্য অসংখ্য সুবিধা এনে দেয়। কার্বন বিচ্ছিন্ন করা থেকে শুরু করে ভূগর্ভস্থ পানির ভাণ্ডার চাঙ্গা করে তোলা, মাটি সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্যের জন্য অনুকূল পরিবেশও দেয়। এসব ইকোলজিক্যাল প্রণালি যে পরিষেবা দেয়, আমাদের বাজার এখনো তার আর্থিক মূল্য স্থির করেনি। ইকোসিস্টেম পরিষেবার জন্য মাসুল বাজারের এই ব্যর্থতা সংশোধন করার চেষ্টা করছে। ক্ষুদ্র চাষিদের সহায়তার উদ্যোগ; ‘ফার্মার্স ফর ফরেস্টস’ সংগঠন গণেশ ধাভালের মতো ক্ষুদ্র চাষিদের সহায়তা নিচ্ছে। তিনি ২০২০ সালে তার দুই একর অব্যবহৃত জমি এই সংগঠনকে ইজারা দেন। সেখানে প্রায় ৮,০০০ চারাগাছ লাগানো হয়েছে। ধীরে ধীরে কার্বন ধারণকারী বড় এক জঙ্গল গজিয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জমির মালিক হিসেবে ধাভালে পাঁচ বছর ধরে প্রতি তিন মাস অন্তর ‘ফার্মার্স ফর ফরেস্টস’ সংগঠনের কাছ থেকে প্রায় ১০০ ইউরো করে হাতে পাবেন। জঙ্গলে গাছপালা বড় হয়ে যে ইকোসিস্টেম পরিষেবা দেবে, সেই বাবদ এই অর্থ দেওয়া হবে।