নিজস্ব প্রতিনিধি – কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন না এমন লোক হয়তো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সাধারণত কারও যদি সপ্তাহে তিন বারের কম মলত্যাগ হয়, সেটাকে চিকিৎসকেরা কোষ্ঠকাঠিন্য হিসেবে চিহ্নিত করেন। অনেকেই বলে থাকেন, মল পরিষ্কার হয় না। স্বাভাবিক মলের পরিবর্তে খুব শক্ত কিছু হচ্ছে— এ রকম উপসর্গ নিয়েই রোগীরা চিকিৎসকের কাছে যান। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী করবেন:
*প্রাথমিক অবস্থায় থাকলে
*পূর্ণ বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ১০-১২ গ্লাস জল পান করতে হবে।
*শাকসবজি খেতে হবে।
*নিয়মিত সকালে মলত্যাগের অভ্যাস করতে হবে।
*কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ইসবগুলের ভুসি দিনে দুবার ৩ চা-চামচ করে খেতে হবে।
* নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করতে হবে। হাঁটার ব্যবস্থা না থাকলে বাসাতেই প্রতিদিন ৪০ মিনিট করে ব্যায়াম করেন।
*নিয়মিত ঘুম ও পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে।
উপরিউক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রেই কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
শিশুদের ক্ষেত্রে বিষয়টি কিছুটা জটিল হয়ে যেতে পারে। তাদের এ রোগকে বলা হয় ‘হাস-নান ডিজিজ’। সংকোচন-প্রসারণের মাধ্যমে মলদ্বার দিয়ে যে মল বের হয়, সেগুলো শুকিয়ে যেতে পারে। শুকিয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবে শিশুর পায়খানা হবে না। তখন অবশ্যই একজন শিশু সার্জন বিশেষজ্ঞ বা কোলন ও রেকটাল সার্জন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।
আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, আগে স্বাভাবিক পায়খানা হতো, হঠাৎ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিয়েছে, আবার নরম পায়খানা হচ্ছে। এ রকম লক্ষণের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রবিশেষে কোলন বা রেক্টনি ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কাজেই কোষ্ঠকাঠিন্য ভেবে কারও এই রোগটিকে হেলাফেলা করা উচিত নয়।