নিজস্ব প্রতিনিধি -জেনে নিন শসার উপকারিতা এবং অপকারিতা:
*শসায় ক্যালরি কম ও চর্বি নেই। ১ কাপ শসায় ১৪ থেকে ১৬ ক্যালরি পাওয়া যায়। এই লো-ক্যালরির জন্য ওজন বাড়ার ভয় নেই।
*শসায় চিনির পরিমাণ কম। তাই স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায় না। একটি শসার ৯৫ শতাংশ জল
তাই শসা খেলে শরীরে জলের
ভারসাম্য বজায় থাকে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
*এতে পেকটিন দ্রবণীয় আঁশ রয়েছে। এই আঁশ বারবার ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। ফলে ওজন বাড়ে না।
শসায় লো-ক্যালরি থাকায় এর সঙ্গে প্রোটিন যোগ করে খেলে ওজন কমে। যেমন শসার সঙ্গে ডিম, মাছ, মুরগি, পনির যেকোনো একটি মিশিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া বাজারের যেকোনো স্পোর্টস ড্রিংকস ও জুসের চেয়ে শসার জল স্বাস্থ্যকর।প্রতিটি খাবারের সঙ্গে একটি শসা খেলে বিপাক প্রক্রিয়ার হার বেড়ে যায়, যা ওজন কমাতে সহায়ক।
যেভাবে শসা খাবেন:
*খাওয়ার ঠিক আগে শসার কিছু টুকরো খেয়ে নিন। এটি আপনাকে খুব বেশি খাওয়া থেকে বিরত রাখবে। ফলে ক্যালরি গ্রহণ কমবে এবং ওজন হ্রাস পাবে।
*খোসাসহ শসা খেলে সর্বোচ্চ পুষ্টি পাওয়া যায়।
*রান্না করা শসায় কিছু পুষ্টিগুণ কমে যায়। তাই সালাদ আকারে খাওয়া ভালো।
*ব্যায়ামের পরে একটি শসা খেলে শরীরে জলশূন্যতা দূর করে পেশি শিথিল করে।
*ওজন কমাতে শসার সালাদ ছাড়াও শসার ডিটক্স জল, শসার স্যান্ডউইচ খেতে পারেন।
*খাবারের সঙ্গে শসা কুচি করে ১ কাপ দইয়ের সঙ্গে খাওয়া যায়। এতে ওজন কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
*হলুদ রঙের শসা কিনবেন না।
*দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত শসা খেলে ভিটামিন ও পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে নিয়মিত শসা খেতে হবে।
*শসায় শকরাবাইটাসিস নামে একটি যৌগ থাকে। এটি কারও কারও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া কারও কারও ক্ষেত্রে শসা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। এ রকম সমস্যা হলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে।