নিজস্ব প্রতিনিধি – পশ্চিমবঙ্গের নবনির্বাচিত বনমন্ত্রী ও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতির্ময় মল্লিক উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় তৃণমূলের এক সভায় বিরোধী দলকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘এবার মুখে লিকোপ্লাস্ট লাগিয়ে পাঁচ বছর চুপ হয়ে ঘরে বসে থাকুন।’ জ্যোতির্ময় মল্লিক বলেন, ওরা কাজের থেকে অকাজ করেছে বেশি। তাই তো রাজ্যবাসী ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই ওদের পাঁচ বছরের জন্য চুপ হয়ে ঘরে থাকতে হবে। কারণ, ওরা তো মানুষের কাজ না করে নির্বাচনে হেরে ঘরে বসে আছে। আরও পাঁচ বছর  ঘরে থাকুন। বনমন্ত্রী বিরোধী দল ছাড়াও একহাত নেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। বলেন, উনি তো আইনের লোক। অথচ কাজ করছেন না আইনমাফিক। কাজ করছেন বিজেপির হয়ে। অথচ তাঁর তো রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসক হিসেবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করা উচিত। এখন ওনার নামে প্রতিনিয়ত যেসব অভিযোগ আসছে, তাতে ওনার অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যে রাজ্যপালের পদত্যাগ দাবি করেছে। চটকদার মন্তব্যের জন্য বনমন্ত্রী জ্যোতির্ময় মল্লিক পরিচিত। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম শাসন অবসানের পর তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে। এরপর জোতিপ্রিয় মল্লিক রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। আর তখন থেকে তিনি তাঁর অস্ত্র শাণাতে থাকেন বাম দলের প্রতি। ২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল হাবড়ায় দলীয় এক জনসভায় এবার সিপিএমকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে বলে তিনি নির্দেশ দেন। শুধু তা–ই নয়, তিনি আরও ঘোষণা দেন কোনো সিপিএমের নেতা–কর্মীর পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের কোনো নেতা–কর্মীর সম্পর্ক রাখা যাবে না। ওঁদের পরিবারের সঙ্গে কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক করা যাবে না; এমনকি ওঁদের সঙ্গে কোনো সামাজিক উৎসবে যোগ দেওয়া যাবে না। শুধু তা–ই নয়, পাড়ায় কোনো চায়ের দোকানে সিপিএম নেতা–কর্মী দেখলে সেখানে চা খেতে যেতে পারবেন না তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা। তাঁদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। ২০১৩ সালের ২৫ জানুয়ারি বিরাটির এক সভায় বাম দল সিপিএমকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী জ্যোতির্ময় মল্লিক বলেছিলেন, সিপিএম বিষধর সাপ। ওদের দেখলে তাড়িয়ে দিন। শুধু তা–ই নয়, সিপিএমের নেতা–কর্মীদের দেখলে নারীদের জুতা হাতে তাড়িয়ে দিতে বলেন তিনি।

Loading