নিজস্ব প্রতিনিধি – আমাকে আঘাত করলে আমি প্রত্যাঘাত করি। আমি সহজে ঘরে ঢুকে যাওয়ার লোক নই।মঙ্গলবার এই ভাষাতেই বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, আমায় হারানোর ক্ষমতা ওদের কেন কারো নেই।আমি শেষ পর্যন্ত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো লড়াই করে যাব। সঙ্গে বলেন, ‘আমি ভয়ে ঘরে ঢুকে যাওয়ার লোক নই, মানুষ বিচার করবেন।’
গত সোমবার নির্বাচন কমিশন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের উপর ২৪ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ২৪ ঘণ্টা প্রচার করতে না পারলেও মঙ্গলবার রাত ৮টার পর বারাসতে সভা করতে আসেন মমতা। সেখানেই তাঁকে সেই পুরনো মেজাজেই দেখা যায়। সভা থেকেই কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি বলেছি, ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট দাও। কী অন্যায় করেছি।’
এরপরই বিজেপিকে এক হাত নিয়ে মমতা বলেন, ‘বিজেপি একা প্রচার করে যাবে আর তৃণমূল প্রচার করতে পারবে না, এর বিচার জনগণ করবে।আমাকে ওদের এত ভয় কীসের? আমায় এভাবে আটকানো যাবে না। মোদী, অমিত শাহরা যতই চেষ্টা করুক, আমায় আটকাতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি জানি, আমায় আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাকে কীভাবে বধ করা যায়, তার অশুভ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমার উপর যতই আঘাত হোক না কেন, সব সামলে নেব। কিন্তু বাংলার মাটিকে গুজরাত হতে দেব না।’
তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, এবারের নির্বাচন বাংলার ইজ্জতের নির্বাচন। গুণ্ডাদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচানোর নির্বাচন। দেশকে বাঁচানোর নির্বাচন। তাই সকলের কাছে আবেদন, এবারের ভোট তৃণমূল কংগ্রেসকে দিন।’ তৃণমূল নেত্রী কন্যাশ্রী, রূপশ্রী-সহ রাজ্য সরকারের ৭৪টি প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। সভা থেকেই তিনি বলেন, ‘আপনারা তো ফ্রিতে রেশন পাচ্ছেন।কিন্তু ভবিষ্যতেও কী ফ্রিতে রেশন চান?
যদি চান তাহলে তৃণমূলকে ভোটটা দিতে হবে।এবারে ক্ষমতায় এলে আমাদের সরকারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেবে।’ পাশাপাশি মোদী সরকারের সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তো নোটবন্দির সময়ে মোদী সরকার সব কেড়ে নিয়েছে।তাই এবারে ক্ষমতায় এলে আমরা ঠিক করেছি, বাড়ির মা–বোনেদের ৫০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত দেব।সামাজিক সুরক্ষার জন্যই দেব।এদিন তৃণমূল নেত্রী জানান, টাকা দিয়ে হয় না।হৃদয় দিয়ে ভোটটা হয়। তাই ভোট তৃণমূলকে দিন।’