ছড়া – “ঋক কেন বোকা?”
কলমে – রঞ্জন সরকার
শান্তিনিকেতন, বীরভূম
জানেন দিদি, আর বলবেন না
আজব কথা “ঋকের” কথা
মানুষ নাকি হতে চাই “বোকা”
বলেছে এক গাঁ এর “খোকা”।
সকলেই তো ইঞ্জিনিয়ার হব, হব ডাক্তার
এসব কথা বলে,👌
এ তো দেখি পরে গেছে এক সততার বেড়া জালে!
বোকা হতে চাই লোক ঠকাবেনা,আজব অভিধান,
সেই ছেলে আজ হিরো হয়ে গেলো,পৃথিবী গাইছে গান।
তার বাবা টাও কেমন বাপু, দিন মজুর এক লোক
ছেলে কে এমন শেখায় নাকি অদ্ভুত এক জোক।
ছেলে কোথায় ডাক্তার হবে কোটিপতি হবে এক,
গর্বে বাবার বুক ফুলে যাবে লোক কে বলবে দেখ্।
বোকা দের কপালে কেবলই তো ঘুঁটে,
লোকে ঠকাবে, খাবে লুটে পুটে।
আমি তো ছেলে কে বলেই দিয়েছি,
নিজেরটা আগে বোঝো,
মেরে কেটে খুন জখম করেও
নিজের কাজ টা খোঁজো।
কোটি পতি হবে, আমেরিকা যাবে
পান্তা নয়, বিরিয়ানী খাবে।
লোকে রা তো সব পণ্য,
জন্মেছে ঠকবারই জন্য।
সুযোগ টা তুমি ছেড়ো না বাপু, বুঝে নিও সব দাম,
তুমি কোটিপতি হলেই যেন তোমার বাপের নাম।
কোথাকার কোন শীতল গাঁয়ের
” রিক”কি বলেছে ছাড়ো,
কম্পিটিশনে নামো আজই
কত লোক ঠকাতে পারো।
পয়সা কামিয়ে, মাথাটা ঘামিয়ে সার্থক কর শ্রম,
বাবা মা কেও ছেড়োনা কিন্তু পাঠিও “বদ্ধাশ্রম “।