নিজস্ব প্রতিনিধি – রেকর্ড বৃষ্টিতে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে প্রচুর জল ছাড়ায় পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে। তাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নামানো হলো সেনা। ইতিমধ্যেই অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বহু বাড়ি ঘর তলিয়ে গিয়েছে জলের তোড়ে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষির। গুলাবি নিম্নচাপের হাত ধরে সৃষ্ট বৃষ্টিতে নাজেহাল বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। আবহাওয়া দপ্তর বলছে, পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। দুর্গাপুর ব্যারেজ ২ লাখ ২১ হাজার কিউসেক জল ছাড়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। সূত্রের খবর, আরও পানি ছাড়তে পারে ব্যারেজটি। রুপনারায়ণ, দ্বারকেশ্বর, মুন্ডেশ্বরী ও দামোদর রীতিমতো ফুঁসছে। বর্ধমান, বাঁকুড়া ও হুগলির পরিস্থিতি খুবই খারাপ। ইতিমধ্যেই ৫ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আসানসোলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩৪ দশমিক ৫ মিলি বৃষ্টি হয়েছে। এত বেশি বৃষ্টির রেকর্ড নেই আসানসোলের ইতিহাসে। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। বিঘ্নিত হচ্ছে ট্রেন চলাচল। পাশের শহর বাঁকুড়ায় ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ৩৫৪ দশমিক ৩ মিলি । এর আগে ১৯২২ সালের ২২ জুন প্রবল বৃষ্টির রেকর্ড আছে বাঁকুড়ার। সেদিনের বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২৯২ দশমিক ৪ মিলি। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই রেকর্ডও ভাঙা পড়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সচিবালয় নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বেশ কয়েক জায়গা থেকে বাঁধ ভাঙারও খবর আসছে কন্ট্রোল রুমে। নতুন নতুন এরিয়া প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে আশার খবর, বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। নতুন করে ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা নেই। তবে এখন রেকর্ড বৃষ্টির হাত ধরে তৈরি প্লাবন মোকাবিলাই সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।