নিজস্ব প্রতিনিধি –  বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনযাপনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে করোনা মহামারি। পাশাপাশি প্রত্যেক মানুষকে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে অধিকতর গুরুত্ব দিতে শিখিয়েছে নতুনভাবে। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য খেয়াল আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের অন্যতম অংশ হওয়া উচিত। কিছু নিয়মিত অভ্যাস যেমন- জ শূন্যতা রোধে বেশি করে জল খাওয়া, ভালো রক্ত সঞ্চালনের জন্য হাঁটা এবং ফুসফুসকে ভালো রাখতে শ্বাস প্রশ্বাসের চর্চা, আমাদের জীবনকে অধিকতর আনন্দময় করতে পারে। প্রতিদিনের অভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা (অন্তত বছরে একবার) সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরের ঝুঁকি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে জানা যায়। পাশাপাশি, কোন প্রকার সুপ্ত অসুস্থতা কিংবা রোগ থাকলে তা চিকিৎসা করার সুযোগ তৈরি হয়। এটা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ যে, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ভবিষ্যতে কিংবা এই মহামারীকালে কোন প্রকার কঠিন সমস্যা থেকে আপনাকে সুরক্ষা দিতে পারে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার বিশেষ উল্লেখ্য বিষয়গুলো হলো-

১। রোগের বিস্তার বাড়ার আগেই চিকিৎসক রোগ নির্ণয় করে প্রতিষেধক দিতে পারেন

২। দ্রুত রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

৩। স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হয়ে সময়নুযায়ী সেবা নেয়া যায়

৪। রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় অনেকাংশে কমে আসে

যেহেতু করোনা মহামারী এখনো আমাদের আক্রমণ করছে, আপনার নিজ স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এইসময়ে সুস্বাস্থ্য বজায় রেখে নিরাপদ থাকার অন্যতম উপায়।

Loading