নিজস্ব প্রতিনিধি – ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে পূর্ব মেদিনীপুর। চলতি মৌসুমে অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজ্যটিতে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট। সবকিছু ডুবে একাকার। বাদ যায়নি বাড়িঘর। ঘরে ভেতর জল ঢুকে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদ-নদীর জল। ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগব্যবস্থা। বন্যার কারণে জলবন্দি বহু মানুষ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ জলের তীব্র সংকট। ভয়াবহ বন্যা দেখা দিলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অন্যান্য বছরের তুলনায় দেরিতে বন্যা দেখা দেওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন কৃষকরা। ফসলি জমি ডুবে যাওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
মেদিনীপুর ছাড়াও বন্যা দেখা দিয়েছে আশাপাশের আরো বেশ কয়েকটি জেলায়। নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে আগস্টে অতিবৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে বুধবার বিকেল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দেয়ালচাপায় ছয়জন, জলেতে ডুবে সাতজন, বজ্রপাতে ছয়জন ও বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন দুজন। এ ছাড়া কালিম্পংয়ে ভ‚মিধসে মৃত্যু হয়েছে আরও দুজনের। চলতি মৌসুমে অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এতে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে রাজ্যটির একাধিক জেলা। বানের তোড়ে বহু মানুষের প্রাণহানিই শুধু নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক লাখ হেক্টর কৃষিজমি। প্রাণ বাঁচাতে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।