আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমাদের অজান্তেই কখন যে দেখা যায় প্রেমের একঝলক স্নিগ্ধ আলো আমরা কখনা বুঝতে পারি আবার কখনো বুঝতে পারি না।সময়ের হাত ধরে সবার জীবনেই কখনো না কখনো এইভাবেই আসে প্রেমের ইশারা।এইরকমই একটি মিষ্টি প্রেমের কথা লিখছেন বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক অজয় ভট্টাচার্য।
।। সৌমিলী।।
প্রথম পর্ব
লোকাল ট্রেনে জানলার পাশে সৌমিলী বসে আছে- হাত ব্যাগটা কোলের উপর রেখে। ট্রেনের পাগলা হাওয়ায় সৌমিলীর চুলগুলো এলোমেলো হয়ে মুখের বলিরেখার আদর খুঁজে বেড়াচ্ছিল। শীতের সকালেও কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম সৌমিলীর পরিশ্রমের ফসল। সৌমিলী হাসনাবাদ লাইনে একটা মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষিকা।
লিলুয়ায় ওর বাড়ী থেকে সকাল সাতটায় বের হয়ে, শিয়ালদহ থেকে রোজ আটটা কুঁড়ির হাসনাবাদ লোকাল ধরে স্কুলে যায়। কিন্তু ,আজ এই নয় বছর চাকরি জীবনে প্রথম সে ট্রেন মিস করেছে। চিন্তিত মুখে সৌমিলী ভাবছে ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছাতে পারবে তো, নাকি লাল কালি পড়বে, তাহলেই তো একটা ছুটি কাটা যাবে।
এই সব কিছুর জন্য তো সুশোভনই দায়ী। অতো রাতে যদি ওর সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ না করতো। সহসা ওর নজরে পড়ল, উল্টো দিকে বসে থাকা বছর চল্লিশের এক সুদেহী পুরুষকে। কোথায় যেন দেখেছে তাকে-
সৌমিলীতো আর এই সময়ের ট্রেনের যাত্রী নয়। বাধ্য হয়ে আজকে সে আটটা পঞ্চাশের লোকাল ধরেছে। নির্দিষ্ট স্টেশন আসতেই সৌমিলী নামার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠলো, উল্টো দিকের লোকটা ও মনে হয় একই স্টেশনে নামবে। স্টেশনে নেমে স্কুলে যাবার জন্য সৌমিলী একটা রিক্সা নিল। বাড়ি ফিরে সৌমিলী ভাবছে কোথায় দেখেছে তাকে- অনেক পরে আবিষ্কার করলো লোকটি ওর ফেসবুক ফ্রেন্ড। এতোদিনের অনাগ্রহে পরে থাকা তার প্রোফাইলটা খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করলো। বার বার জ্যামিতিক কম্পাসে সকালের দেখা মুখটা মিলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলো। ম্যাসাঞজারে হাই লিখে নতুন করে বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানালো। দুদিন পরে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে সৌমিলী ইচ্ছে করেই আটটা পঞ্চাশের লোকাল ধরলো …….. (পরবর্তী অংশ পরবর্তী সংখ্যায়)
………………………………………………………………………………………………….
-
-
-
-
__________________________________________________________
-
-
-
-
-
-
-
__________________________________________________________
-
-
_______
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-