নিজস্ব প্রতিনিধি – চলতি বছর বিশ্বজুড়ে ৮ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থা আইওএমের হিসাবে, ২০২১ সালে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর। যা গত বছরের পরিসংখ্যানকেও ছাড়িয়ে গেছে।

জাতিসংঘের হিসাবে, বিশ্বের স্বল্প উন্নত দেশের অন্যতম আফগানিস্তান। যুদ্ধ, সহিংসতা ও ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেড়েছে ৬ লাখ। ২০২০ সালে অভ্যন্তরীণ বাস্তুহারাদের সংখ্যা ছিলো ২৯ লাখ।

আর এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ লাখে, যা মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ। বিশেষ করে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর দেশ ছাড়ার প্রবণতা বেড়েছে।

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের আগে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার। এ বছরের ১ ফেব্রুয়ারির পর আরও ২ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে। সেনা অভিযান ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সাম্প্রতিক নানা সংঘাতের জেরে প্রতিনিয়ত প্রতিবেশি নানা দেশে পাড়ি জমাচ্ছে হাজারো মানুষ।

এ বছরের ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৫ হাজার মানুষ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে। যা গত বছরের চেয়ে তিনগুণ বেশি। ২৫ নভেম্বর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৫টি নৌকায় ফ্রান্স থেকে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে এক হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী যুক্তরাজ্যে ভিড়ে। যা দেশটিতে একদিনে রেকর্ড অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রবেশের ঘটনা। আর ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর, দুইদিনে এই সংখ্যা প্রায় ১ হাজার।

জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ইউরোপের নানা দেশে পাড়ি দিয়েছে ৫৫ হাজার শরণার্থী। এদিকে বছরের মাঝামাঝি থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয় বেলারুশ ও পোল্যান্ডের অভিবাসন সংকট।

ডিসেম্বরের শুরু থেকে সংঘাতে ক্যামেরুনের ফার নর্থ অঞ্চলের ১ লাখ বাসিন্দা গৃহহীন হয়েছে বলে জানান ইউএনএইচসিআর। এর মধ্যে ৮৫ হাজার মানুষ পালিয়েছে প্রতিবেশি দেশ চাঁদে, আর বাকিরা অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি জমাতে প্রতি বছর ভূমধ্যসাগর পার হওয়ার চেষ্টা চালায় বহু মানুষ। এ বছর প্রায় সাড়ে তিন লাখ শরণার্থী ভূম্যসাগর পার হয়েছে। এর মধ্যে নৌকাডুবিতে ঘটেছে হতাহতের ঘটনা।

Loading