নিজস্ব প্রতিনিধি – উৎসবের মৌসুমে ভারতে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী দিল্লি, গুজরাট, রাজস্থান ও তামিলনাড়ুতে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের বড় আশঙ্কা। পাঞ্জাব প্রদেশে এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। প্রবল বর্ষায় কয়লার অভাবে এ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে রাজধানীতে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ভারত সরকার অবশ্য আতঙ্কিত না হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর কে সিং বলেছেন, ‘টাটা ও গেইলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে অযথা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।’  মন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যুতের বিন্দুমাত্র ঘাটতি নেই। আপনাদের (রাজ্য গুলিকে) যদি বিদ্যুতের প্রয়োজন থাকে আমাকে জানান। আমি বিদ্যুতের ব্যবস্থা করব। তবে কয়লা মজুতে ঘাটতির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, চার দিনের কয়লা মজুত রয়েছে। প্রবল বর্ষণ আর আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। গত বছর এই সময়ে ১৭ দিনের কয়লা মজুত ছিল বলে জানা গিয়েছে।

ভারতের কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীও স্বীকার করেছেন কয়লা মজুতে ঘাটতির কথা। তবে মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।  কয়লামন্ত্রী আরও জানান, এখন প্রতিদিন ১.৬ মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে দু-এক দিনের মধ্যেই ১ দশমিক ৭ মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।  প্রসঙ্গত, ভারত মূলত তাপবিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। আর এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলি চলে কয়লা শক্তির ওপর। কয়লার অভাব দেখা দেওয়াতেই মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বেশির ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে এমনই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Loading