নিজস্ব প্রতিনিধি – আজ ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াংকা টিবরেওয়াল। বিশ্লেষকেরা বলছেন, উপনির্বাচনে জয়ের হাওয়া বইছে মমতার দিকেই। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে জয়ী হয়েছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পরে তিনি পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য হয়। ডাকা হয় উপনির্বাচন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতাকে ভবানীপুর থেকে জেতানোর লক্ষ্যেই শোভনদেব পদত্যাগ করেন। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসন থেকে হারেন মমতা। এরপরও ভারতীয় সংবিধান মেনে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়েছিল তৃণমূল। সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে বিধানসভা নির্বাচনের হারের ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসনে জিতে আসতে হবে।
এদিকে আগামীকাল ভবানীপুরের উপনির্বাচনকে ঘিরে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিয়োগ করেছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে ভবানীপুর বিধানসভা এলাকাজুড়ে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। ২৬টি উপনির্বাচন কেন্দ্রে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে করা একটি জনস্বার্থ মামলায় রায়ে আদালত বলেন, ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে বাধা নেই। পূর্বঘোষিত তারিখে ৩০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেন।