ধৃতিমান বড়ুয়া – এবার থেকে ভারতের সবচেয়ে মর্যাদাসূচক সামরিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমি’ এনডিএ-তে  নারীদের প্রবেশাধিকার ঘটলো। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিমকোর্টে জানানো হয়, তারা এনডিএ-তে মেয়েদের ভর্তি করতে রাজি হয়েছে।সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিরা এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, সামরিক বাহিনী দেশের একটা মর্যাদাপূর্ণ শাখা।কিন্তু লিঙ্গ বৈষম্যের ক্ষেত্রে তাদের আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা খুশি। এখন পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের পুণে শহরের খড়গভাসলায় এনডিএ-র জন্মলগ্ন থেকেই তা ছিল শুধুই পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত। স্থলবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ক্যাডেটদের ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমিতে একসঙ্গে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তার পর তাঁরা স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীর জন্য আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নিতে চলে যান।নারীরা দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে রয়েছেন, পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাঁরা দেশরক্ষার কাজ করছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এনডিএর মতো প্রতিষ্ঠানে তাঁদের প্রবেশাধিকার ছিল না। এ বিষয়ে একজন আইনজীবী সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করে বলেন, মেয়েরা ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ছেলেদের সমান অধিকার পাচ্ছেন না। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট গত ১৮ই আগস্ট অন্তর্বর্তী আদেশ দেয়, এই বছর ২৪শে নভেম্বর এনডিএ-তে যে ভর্তির পরীক্ষা হবে, তাতে যেন মেয়েরা পরীক্ষা দিতে পারেন। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের সহকারী সলিসিটর জেনারেল সর্বোচ্চ আদালতকে বলেন, আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, কেন্দ্রীয় সরকার মেয়েদের এনডিএ-তে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ বছরেই তা সম্ভব হবে না। মেয়েদের জায়গা দেওয়ার জন্য নীতিগত, প্রশিক্ষণ ও পদ্ধতিগত এবং পরিকাঠামোর নানান পরিবর্তন করতে সময় দরকার। সব মিলিয়ে ওখানে মেয়েদের ভর্তি এক বছর পিছিয়ে যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত মেয়েরা যে সম্পূর্ণ পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত এই সামরিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশাধিকার পেতে চলেছেন সেটাই এখন বড় কথা। সূত্র :ভয়েস অফ আমেরিকা

Loading