নিজস্ব প্রতিনিধি – এই মরশুমে শেষপর্যন্ত কি এসসি ইস্টবেঙ্গলকে দেখা যাবে আইএসএল খেলতে? ক্লাব কর্তাদের গোয়ার্তুমিতে পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রনের বাইরে যেতে বসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কোর্টে বল ঠেলা সত্ত্বেও তিনি আদৌ আগ্রহ দেখাবেন কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এসবের থেকেও বড়ো প্রশ্নচহ্নিটা এবার ঝুলিয়ে দিল অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন বা আদতে এএফসি। ২৩ জুলাই ইন্ডিয়ান সুপার লিগ, আই লিগ ও দ্বিতীয় ডিভিশনের সব ক্লাবের কাছে লাইসেন্সিংয়ের কাগজপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক যে আবেদনপত্র তা সইসাবুদ করে পাঠিয়ে দিতে হবে ২৭ জুলাইয়ে মধ্যে। অর্থাৎ হাতে রয়েছে মাত্র দুটো দিন। আর এই দুদিনের মধ্যে চুক্তিতে সই হবে কি না বা অন্তত সই করার ব্যাপারে ক্লাব কর্তারা এগিয়ে আসবেন কি না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। বিনিযোগকারি সংস্থার কর্তারাও ঠিক করে ফেলেছেন, চুক্তিতে সই না হলে কোনও কাজই তাঁরা আর এগোবেন না। তাঁদের তরফে বলা হচ্ছে, দোষটা তো আমাদের নয়। আমরা বহুদিন ধরে চুক্তিতে সই করতে বলছি। এটাও বারবার বলেছি যে খসড়ার সঙ্গে কী কী পার্থক্য ওরা খুঁজে পেয়েছেন সেটা আমাদের জানালেই বদলে দেওয়া হবে। কিন্তু সেটা যখন জানানো হয়নি তাহলে ধরে নিতে হবে দুটো চুক্তিতে কোনও পার্থক্য নেই। তাই যতক্ষন না চুক্তিতে সই হচ্ছে ততক্ষণ কোনও কাজই এগোবে না। কিন্তু প্রাথমিক আবেদনপত্র এরমধ্যে জমা দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সম্ভবত আমরা জমা করছি না। তবু সোমবার এই বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সেক্ষেত্রে লাইসেন্সিংয়ে সময় পার হয়ে গেলে কি হবে জানতে চাওয়া হলে এসসি প্রতিনিধির মন্তব্য, তখন লাইসেন্স হবে না। ক্লাব আর ফুটবল খেলতে পারবে না। আমাদেরও ক্ষতিপূরন দিয়ে দিলে আমরা ওদের হাতে সব সত্ত্ব ফিরিয়ে দিয়ে চলে যাব। যদিও অভিজ্ঞ মহল জানেন, এদেশের ফুটবলে সবই বেনিয়মে চলে। তাই সময় পেরিয়ে গেলেও যেহেতু ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত লাইসেন্সিংয়ে কাজ চলবে, তাই প্রাথমিক আবেদনপত্রও পরে জমা নেওয়া হতেই পারে। এদিকে, সোমবার ক্লাব তাঁবুতে প্রাক্তনদের জড়ো হয়ে চুক্তির বিরোধিতা করে ধর্নায় বসার কথা। যদিও এদিন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়, কোন প্রাক্তনরা আসছেন বিক্ষোভ দেখাতে। সবমিলিয়ে লাল-হলুদে ডামাডোল অব্যাহত।