নিজস্ব প্রতিনিধি – সম্ভাব্য পদকজয়ীর তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। তবে এতটা বাজে ফল করবেন, তাও আশা করেননি কেউ। ফলে রবিবার আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে বিদায় নিয়ে সমালোচনার মুখে বাংলার প্রণতি নায়েক। ব্যর্থতার পরই প্রণতির প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সম্প্রতি সাইয়ে তরফে কোচ লক্ষ্মণ শর্মাকে তাঁর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরের কথা, এই কোচের জাতীয় বা রাজ্যস্তরেও কোনও সাফল্য নেই। লক্ষ্মণের পূর্বসূরী মিনারা বেগম দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ কোচ। ১৭ বছর ধরে প্রণতিকে তৈরি করেছেন। প্রণতির সঙ্গে টোকিও যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও তাঁর আবেদনে সাড়া দেওয়া হয়নি। এমনকি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন কোচের প্রসঙ্গ উঠলে প্রশ্ন এড়িয়েছেন বা দায়সারা উত্তর দিয়েছেন প্রণতি। সূত্রের খবর, প্রভাব খাটিয়ে সাইয়ের কোচ হওয়ার পর দ্রুত মিনারাকে রাস্তা থেকে সরিয়েছেন লক্ষ্মণ। তাতে প্রচ্ছন্ন সায় ছিল প্রণতিরও। টোকিওয় যাওয়ার আগে-পরে প্রণতির প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। লকডাউনের জন্য দীর্ঘদিন ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারেননি। টোকিও যাওয়ার পরও নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ দেখিয়েছেন প্রণতি। এইসব দিকে মন দিতে গিয়ে প্রস্তুতির ফাঁক পূরণের সময় পাননি তিনি, মনে করছেন অন্য জিমন্যাস্টরা। পূর্বসূরী দীপা কর্মকারের সঙ্গে তুলনা করে তাঁদের মন্তব্য, ইভেন্টে যাওয়ার পর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী দীপাকে ফোন ব্যবহার করতে দেন না। সেখানে প্রণতিকে দেখে মনেই হয়নি ও অলিম্পিকে নামবে। পাশাপাশি আঙুল উঠছে সাইয়ের দিকেও। কীভাবে ২৭ বছরের লক্ষ্মণকে অলিম্পিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় জিমন্যাস্টিক্সের কোচ করে পাঠানো হল তা স্পষ্ট নয় বলে দাবি জিমন্যাস্টিক্স মহলের। তবে এখনও প্রণতির সামনে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন কোচ মিনারা। পুরোনো কথা ভুলে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, রিওর ব্যর্থতা টোকিওয় ঢেকে দিয়েছেন ভারোত্তলক মীরাবাই চানু। তা থেকে শিক্ষা নিতে পারে প্রণতি। চার বছর পর তাঁর বয়স হবে ৩০, যা জিমন্যাস্টিক্সের ক্ষেত্রে এমন কিছু বেশি নয়। প্রয়োজনে প্রাক্তন ছাত্রীকে সাহায্য করতে তৈরি মিনারা।

Loading