নিজস্ব প্রতিনিধি – বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বি. ১.৬১৭ ভাইরাসটি গত ডিসেম্বরে ভারতে ধরা পড়ে। তবে এর আগেই অক্টোবরে ভারতে এই ভাইরাসটির প্রাথমিক ধরণ চিহ্নিত হয়। এগুলোকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ নামে আখ্যা দেয় সংস্থাটি। সংস্থাটি বলছে, এই ভাইরাসটি অধিক মাত্রায় সংক্রমণে সক্ষম, এতে আক্রান্ত হলে অন্য বড় রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয় এবং এটি টিকার কার্যকারিতাকে ব্যর্থ করে দেয়। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ডিজিজ মডেলার ক্রিস মারে অবশ্য ভারতে হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে বি. ১.৬১৭ নতুন ধরণটি দায়ী থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন।
ভারতের জ্যেষ্ঠ ভাইরাস বিশেষজ্ঞ শহিদ জামিল বলেন, ‘মৌলিক দুটি মিউটেশনের সমন্বয়ে বি. ১.৬১৭ ধরনের ভাইরাসের বাইরের অংশ গঠিত, যা মানবদেহের কোষের সঙ্গে যুক্ত হয়। ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের পরিচালক সুজিত কুমার সিংহ জানান, ‘গত মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে এই ধরনের সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়ে যায়। ভারতীয় ধরণটি দেশের সর্বোচ্চ করোনাকবলিত রাজ্য মহারাষ্ট্রে বেশি ছড়িয়েছে। ইতালির রোম’স বাম্বিনো গ্যেসু হসপিটালের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি ডায়াগনস্টিক বিভাগের প্রধান কার্লো ফেডেরিকো পার্নো বলেন, ‘ভারতে ব্যাপক সংক্রমণের বড় বড় গণজমায়েত অনেকাংশে দায়ী বলে উল্লেখ করেন তিনি। ‘
উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহে ভারতে বড় বড় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জমায়েতের অনুমোদন দেওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাপক সমালোচনা হয়। করোনার নতুন ধরনটির ক্ষেত্রে টিকার কার্যকারিতার সম্ভাবনা রয়েছে। হোয়াইট হাউসের চিফ মেডিকেল অ্যাডভাইজর অ্যান্থনি ফসি সম্প্রতি বলেছেন, ‘ভারতে উৎপাদিত করোনার টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ দেশটির নতুন ধরনের ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম বলে প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে।