নিজস্ব প্রতিনিধি- পশ্চিমবঙ্গে একুশের ভোটে ২০ বছর আগের পুনরাবৃত্তি দেখা যেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। একই কথা বলছে এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটারের দ্বিতীয় দফার জরিপ।
শনিবার রাতে প্রকাশিত যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৯৪ আসনের মধ্যে তৃণমূল ১৪৮ থেকে ১৬৪টি আসন জিততে পারে। বিজেপি পাবে ৯২ থেকে ১০৮টি আসন।
আর বাম-কংগ্রেস জোট জিততে পারে ৩১ থেকে ৩৯টি আসন। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে সরকার গড়তে প্রয়োজন ১৪৮টি আসন। খবর ইন্ডিয়া টুডে ও এবিপির।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০০১-এ তৃণমূল যেমন হারাতে পারেনি সিপিএমকে, বিজেপিও হারাতে পারবে না তৃণমূলকে। সেবার তৃণমূল আওয়াজ তুলেছিলেন ‘এবার নয় নেভার’। সেবার কিন্তু পরিবর্তন হয়নি। আরও ১০ বছর বহাল তবিয়তে রাজত্ব করেছে বামেরা।
২০২১-এ সেই পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেবারও (২০০১) সিপিএম বিরোধী হাওয়া উঠেছিল। তৃণমূল বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাম জমানার অবসান ঘটাতে।
কিন্তু সফল হয়নি তৃণমূল-কংগ্রেসের জোট। ফের বিপুল ক্ষমতা নিয়ে ফিরেছিল সিপিএম সরকার।
তারপর ২০১১ সালে ফের কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে তৃণমূল কংগ্রেস বাম জমানার ৩৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে পরিবর্তনের সরকার গড়েছিল। তারপর কেটে গিয়েছে ১০ বছর।
মাঝে ২০১৬ সালেও বাম-কংগ্রেস জোটকে উড়িয়ে তৃণমূল বিপুল ক্ষমতা লাভ করেছিল। এবার ২০২১-এ তাদের নয়া প্রতিপক্ষ বিজেপি!
বিজেপি ২০১৯-এর লোকসভায় ১৮ আসনে জিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। লোকসভায় তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। তাই ২০২১-কে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তারা।
বিজেপি হাওয়া তুলেছে এবার তৃণমূলকে হারিয়ে প্রকৃত পরিবর্তন আনার। তৃণমূলকে ভেঙে ক্ষমতা খর্ব করেই তারা পসার লাভ করতে চাইছে।
কিন্তু এভাবে কি তৃণমূলকে হারানো সম্ভব হবে বিজেপির পক্ষে? বিজেপি সেয়ানে সেয়ানে লড়ার মতো জায়গায় এলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, এবার বিজেপির অবস্থা ২০০১-এর তৃণমূলের মতো হবে।
তৃণমূল যেমন সেবার হাওয়া তুলেও সিপিএমকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারেনি, এবার বিজেপিও পারবে না তৃণমূলকে হারাতে।