নিজস্ব প্রতিনিধি- খুব কাছেই এসে পড়েছে বিধানসভা নির্বাচন। ফলে কোমর বেঁধে নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছে ডান-বাম সব রাজনৈতিক দল। নির্বাচনে সাফল্য পেতে নতুন এক রণকৌশলে এগোচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গেছে, বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বাংলার নারী শক্তির উপরেই ভর করে এগিয়ে থাকতে চাইছে তৃণমূল।
সূত্র বলছে, বাংলায় ভোটের আনুপাতিক হারে পুরুষ ভোটারের ঘাড়ের উপরেই নিঃশ্বাস ফেলছে নারী ভোটার। আগে বাংলায় ১০০০ জন পুরুষ ভোটারের অনুপাতে নারী ভোটার ছিলো ৯৫৬ জন। যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬১ জন। ফলে ভোটে নির্ধারকের ক্ষেত্রে নারী ভোটাররাও একটা বড়ো ভূমিকার অংশীদার।
নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান মতে, পশ্চিমবঙ্গে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩৭৩ কোটি এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৩৫৯ কোটি। যা প্রায় কাছাকাছি। রাজ্যে প্রায় ৮১ শতাংশ নারী ভোট দেন। ফলে বাংলার নারী ভোটারকে টার্গেটে রেখে একুশের ভোটে অ্যাডভান্টেজ তুলে নিতে চায় তৃণমূল।
তাছাড়া এবার নারীদের উপর যেভাবে গুরুত্ব দিয়েছে মমতার সরকার তাতে করে বিধানসভা নির্বাচনে নারীদের মন জয় অনেকটাই তৃণমূলের কাছে সুবিধার বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে একমাত্র তৃণমূলই রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৭টিতে নারী প্রার্থী দিয়েছিলো। আর বিজেপি দিয়েছিলো চারটি আসনে। সেদিক থেকেও রাজনীতিতে নারীদের অগ্রাধিকার দেয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূলই।
এছাড়াও এবার পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজে নারীদেরকেই সব থেকে বেশি অংশগ্রহণ করানো হয়েছিলো। তার উপর আবার রয়েছে মমতা সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের মতো রাষ্ট্রসংঘের সম্মান প্রাপ্ত প্রকল্প। ফলে রাজ্যের নারী ভোটারদের মন জয়ের ক্ষেত্রে সমস্ত রসদ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের হাতে রয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবঙ্গে নারী ভোটারের অনুপাত যতো বেড়েছে ততোই তাদের গুরুত্ব বেড়েছে। ফলে এবারের একুশের নির্বাচনে সেই নারী ভোটারদেরকেই টার্গেট করেছে তৃণমূল। তাইতো নারী শক্তিকেই প্রাধান্য দিয়ে নতুন শ্লোগানও (বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়) তুলেছে তৃণমূল।
এদিকে আগামী ৮ মার্চ ‘বিশ্ব নারী দিবসে’ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার ভবানিপুর থেকে যাদবপুর পর্যন্ত এক পদযাত্রায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ফলে নারী শক্তির ব্যবহার করে এবারে একুশের ভোটে যে তৃণমূল নয়া রণকৌশল সাজাচ্ছে সেটা বলাই যায়।