নিজস্ব প্রতিনিধি – চিকিৎসকদের পরামর্শ খানিকটা উপেক্ষা করেই সোমবার (১৫ মার্চ) থেকে ফের নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে তার সফর শুরু হবে। হুইলচেয়ারে বসেই প্রচারণার কাজ চালাবেন তিনি।
সফরে নামার আগে রবিবার (১৪ মার্চ) বাড়ি থেকেই তৃণমূলের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করবেন মমতা। বৃহস্পতিবার ইশতেহার প্রকাশের কথা থাকলেও তার আকস্মিক দুর্ঘটনার কারণে কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনতে হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান মমতা। বুধবার নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দিয়ে কেন্দ্র সফরের সময় ‘হুড়োহুড়িতে’ বাম পায়ে মারাত্মক চোট পান তিনি। আঘাত লাগে শরীরের আরও কয়েকটি জায়গায়। দ্রুত সেখান থেকে তাকে নেয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। চিকিৎসকরা মমতাকে আরও ৪৮ ঘণ্টা হাসপাতালে থাকার জন্য বলেছিলেন। এছাড়াও অন্তত ৭ দিন বিশ্রামের পরামর্শ দেয়া হয়েছিল তাকে। কিন্তু সেই পরামর্শ উপেক্ষা করেই বাড়িতে ফিরে যান মমতা। ৭ দিনের মাথায় আবার তার মেডিকেল পরীক্ষা করার কথা রয়েছে।
বাড়ি ফিরে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আঘাত, যন্ত্রণা সবকিছুর পরেও বলছি, মানুষের কাছে গিয়ে আমাকে দাঁড়াতেই হবে। কারণ নির্বাচন একটি বড় রাজনৈতিক সংগ্রাম। সেখানে মানুষই আমার শক্তি। তাই নিজের কষ্টের থেকে মানুষের সামনে পৌঁছানো আমার কাছে বেশি জরুরি।’
এই পরিস্থিতিতে মমতাকে চলাফেরা করতে হবে হুইল চেয়ারে। বন্দোবস্ত করা হয়েছে দু’টি হুইল চেয়ারের। একটি তাঁর গাড়ির ‘সিট’ খুলে সেখানে বসানো হবে। ওই হুইলচেয়ারেই তিনি ঢালু পথ বেয়ে উঠবেন হেলিকপ্টার বা বিমানে। মঞ্চে ওঠার জন্য একইভাবে থাকবে ঢালু পথ। হুইলচেয়ারে বসে বক্তৃতা করবেন মমতা। নির্বাচনী সফরের সময় বিভিন্ন জেলায় যেসব হোটেল বা গেস্ট হাউসে তিনি থাকবেন, সেখানেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘নিজের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভাবার সময় এখন নয়। আমি বিশ্বাস করি, যাদের সামনে যাব, সেই জনতার সহযোগিতা পাব। এটাই সব চেয়ে বড় পাওয়া।’