নিজস্ব প্রতিনিধি – শহরে ফের ভুয়ো সিবিআই অফিসারের হদিশ! ‘সিবিআই অফিসার’ পদে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে আইনজীবীর সঙ্গে ৪০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। গ্রেফতার অভিযুক্ত। নোয়াপাড়া থেকে অভিযুক্ত কৃশানু মন্ডলকে গ্রেফতার করে বরানগর থানার পুলিশ।
প্রতারিত কৃষ্ণ মণ্ডল শিয়ালদা ব্যাঙ্কশাল কোর্টে কর্মরত আইনজীবী। কৃশানুর সঙ্গে কাজের সূত্রে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। অভিযোগ, কৃশানু তাঁকে সিবিআই অফিসার পদে চাকরি করিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেই মোতাবেক ৮০ লক্ষ টাকা ধাপে ধাপে ওই আইনজীবীর কাছ থেকে নেন কৃশানু। প্রতারিত ব্যক্তির স্ত্রীও আইনজীবী। টাকা দিয়ে দেওয়ার কিছুদিন পর আইনজীবী দম্পতি বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। কৃশানু যে ভুয়ো আধিকারিক তাও খোঁজখবর করে জানতে পারেন তাঁরা। এরপর কৃষ্ণ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই নোয়াপাড়া থেকে কৃশানুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তাঁকে বারাকপুর আদালতে পেশ করা হবে। তদন্তকারীরা বলছেন, প্রতারণার যে ধরনটা এখন দেখা যাচ্ছে, সেটা সাম্প্রতিক কয়েক বছরে বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। এর আগেও ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক সেজে প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। সিবিআই কর্তা সেজে কসবার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। ভুয়ো ইডি অফিসার পরিচয় দিয়েও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে একাধিক। তার একটি মামলা বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করে দেখছে। প্রথমে সেটির তদন্ত শুরু করেছিল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। দেখা গিয়েছে, রাজ্যে মূলত চিটফান্ড মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রতারকরা ইডি, সিবিআইকে সামনে রেখে তাঁদের জাল বিছিয়েছে। কারণ এই মামলাগুলির তদন্তে আরও বেশি করে সক্রিয় হয়েছে ইডি-সিবিআই। এই ‘মোডাস অপারেন্ডি’র সূত্র ধরেই ভুয়ো সিবিআই কৌসুলী সনাতন রায় চৌধুরীর কীর্তি প্রকাশ্যে এসেছে। এই তালিকায় সংযোজিত হয়েছিল চন্দন রায়ের নাম। তিনি ইডি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তৃণমূল সাংসদকে ফোন করেছিলেন। এই তালিকায় নবতম সংযোজন কৃশানু মণ্ডল।