শান্তি রায়চৌধুরী: ষষ্ঠী-সপ্তমীতেই মানুষের ঢল: হাওড়ার পুজো মণ্ডপ গুলিতে পুজোর প্রথম দুটো দিন মানুষের ঢল। এই দৃশ্য উত্তর দক্ষিণ মধ্য হাওড়ার সর্বএ। এমনকি এই দৃশ্য জেলার বহু পুজো মন্ডপের ও। দলে দলে মানুষ নেমে পড়েছেন প্রতিমা দর্শনে। ঘুরছেন হাত ধরাধরি করে। মোবাইল ধরে রাখছেন প্রতিমার ছবি।
অশনি সংকেত:
পুজোর দুটো দিন এই ভিড় দেখে শঙ্কিত পুজো কমিটির সদস্যরা। কেমন করে করোনার বিধি নিষেধ মানা হবে, তা নিয়ে তারা চিন্তিত।
করোনাকালীন বিধি নিষেধ:
করোনাকালের জন্য একগুচ্ছ বিধিনিষেধ রয়েছে প্রতিটি পুজো কমিটিতে।
তাদের সেই বিধিনিষেধ মেনে চলতে হচ্ছে। কিন্তু এই ভিড়ের মধ্যে সবাই হয়ে যাচ্ছে দিশেহারা। তাহলে বাকি পূজো কটা দিন কি হবে সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মাস্ক ও স্যানিটাইজার:
মাস্ক ছাড়া পুজোমণ্ডপে প্রবেশ নিষেধ। স্যানিটাইজার রাখতে হবে। কিন্তু দেখা, যাচ্ছে কেউ এসব মানছেন, আবার কেউ মানছেন না।
প্রবেশ নিষেধ:
দর্শনার্থীদের একটি জায়গা পর্যন্ত যেতে দেওয়া হচ্ছে, তারপর নয়। হাওড়া দাসনগর শিবপুর বালিটিকুরি ডানকুনি থেকে হাওড়ার আরো বিভিন্ন জায়গায় এমনই কয়েকটি পূজামণ্ডপে প্রবেশ নিষেধের বোর্ড লাগানো হয়েছে । কিন্তু তা দেখতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ভলেন্টিয়াররা। পুজোর বাকি দিনগুলো ঠিকভাবে সামলানো যাবে তো?
মণ্ডপে পুলিশ মোতায়েন:
বড় মন্ডপ গুলিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা করোনা বিধি মানা হচ্ছে কিনা, সেটা খেয়াল রাখছে। কিন্তু ভিড়ের উপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রশ্ন থাকছে পুজোর বাকি দিনগুলো কি হবে?
আগামী দিনগুলোর জন্য চিন্তা:
পঞ্চমী ও ষষ্ঠীতে এত মানুষ। এরপর আজ সপ্তমী , তারপর অষ্টমী নবমী আছে। এখনতো দশমীতে মানুষ প্রতিমা দর্শন করছেন। তখন তো আরও মানুষ রাস্তায় নামবেন পুজো দেখতে। তখন ভিড় সামলে দিতে না পারলে করোনা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।