মঙ্গলবার সেখানে শুদ্ধিকরণ করে প্রবেশ করেন তৃণমূল- কংগ্রেস কর্মীরা। তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অফিস নিয়ে বিতর্ক আগেই উঠেছিল। জানা গিয়েছে যেই বাড়িতে অফিসটি, সেই বাড়ির মালিক হলেন তৃণমূল-কংগ্রেসের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মন্টু সাঁতরা। তিনি অভিযোগ করেন যে, তিনি নাকি বাড়ির নীচ তলাটি রাজীবকে ভাড়া দিয়েছিলেন। আর সেখানে কিছু না জানিয়েই প্রাক্তন বনমন্ত্রী নিজস্ব কার্যকলাপ চালানোর জন্য অফিস তৈরি করেছিলেন। আর দশ বছরে মাত্র তিন মাস বাড়ি-ভাড়ার টাকা দিয়েছিলেন রাজীব। সেই সঙ্গে মন্টু আরও জানান যে, তৃণমূল পরিচালিত হাওড়া জেলা পরিষদের মেন্টর কল্যাণ ঘোষের সঙ্গে মেলা-মেশা করার জন্য তাকে মিথ্যে মামলাতেও ফাঁসিয়ে ছিলেন ডোমজুরের প্রাক্তন বিধায়ক।গঙ্গা জল দিয়ে শুদ্ধ করা হল প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস। শুধু গঙ্গা জল দিয়ে ধোয়া-মোছাই নয়, রীতিমতো পুজো দিয়ে পাপ বিদায় করে ডোমজুরের পাকুরিয়ার এই বিধায়ক অফিসের দখল নিলেন স্থানীয় তৃণমূল-কংগ্রেসের কর্মীরা। বহুদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন রাজীব। তারপর থেকে তাঁর অফিস বন্ধই ছিল। তবে এই সব অভিযোগই অস্বীকার করে উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের পাল্টা দাবি অফিসটি যদি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজেরই ভাড়া নেওয়া হয় তাহলে তৃণমূল অফিসটি দখল করে কী ভাবে।

Loading