নিজস্ব প্রতিনিধি – সম্প্রতি ‘মুড অব দ্য নেশন’ শিরোনামে একটি বিশেষ জরিপ চালিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। সেখানে দেখা গেছে করোনা মহামারি ঠেকাতে হিমশিম খাওয়া প্রধানমন্ত্রী মোদির জনপ্রিয়তা গেল এক বছরে ৬৬ থেকে ৪২ শতাংশ কমে ২৪ শতাংশে নেমেছে। গত সপ্তাহে জরিপের এই ফল প্রকাশ করা হয়। জরিপটিতে প্রশ্ন করা হয়, বর্তমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সবচেয়ে যোগ্য কে? এতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তারপরেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির নেতা রাহুল গান্ধী।-খবর ডন অনলাইনের। প্রধানমন্ত্রী পদের যোগ্যতায় মোদি শীর্ষে থাকলে জনপ্রিয়তা আগের বছরের চেয়ে ব্যাপক কমেছে। ২০২০ সালের আগস্টে তার জনপ্রিয়তা ছিল ৬৬ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা নেমে আসে ৩৮ শতাংশে। আর আগস্টে চূড়ান্তভাবে তা ২৪ শতাংশে নেমে গেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মতে, করোনা মহামারি মোকাবিলায় মোদির অদক্ষতার কারণেই তার জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। লোকজন তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ইন্ডিয়া টুডে বলছে, করোনার প্রথম ঢেউ মোকাবিলায় প্রশংসিত হয়েছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। তখন ৭৩ শতাংশ মানুষ তাকে সমর্থন জানিয়েছেন। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে সেই সমর্থন কমে ৪৯ শতাংশ হয়েছে। জরিপে অংশ নেয়া ২৭ শতাংশ মানুষ বলছেন, নির্বাচনী প্রচার সমাবেশসহ বড় বড় জমায়েতের অনুমোদন দেওয়ার কারণে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক প্রাণঘাতি রূপ নিয়েছিল। ২৬ শতাংশের মতে, করোনা বিস্তার রুখতে পূর্বসতর্কতা আমলে না নেওয়া হয়নি। এছাড়া করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্ত নিয়ে সরকারের তথ্যে অনাস্থার বিষয়টিও উঠে এসেছে জরিপে। ৭১ শতাংশ মানুষ বলছেন, ভারতীয় সরকার যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, করোনায় প্রাণহানি ও সংক্রমণ তার চেয়ে অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, ভারতে কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যু ও আক্রান্ত সত্যিকারের সংখ্যার তুলনায় কমিয়ে দেখানো হয়েছে। গত জুলাইয়ে তৃতীয় দেশ হিসেবে ভারতে করোনা মৃতের সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে। ভারতে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য অতিসংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করা হচ্ছে। এছাড়া জানুয়ারিতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোদির বিজয় ঘোষণার পর সরকারের মধ্যে আত্মতুষ্টি চলে এসেছিল। ‘ভারতে বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি কী?’ প্রশ্নের জবাবে ২৩ শতাংশ মানুষ বলছেন, করোনাভাইরাস। ১৯ শতাংশের মতে, মুদ্রাস্ফীতি ও ৯ শতাংশের মতে, বেকারত্ব।