নিজস্ব প্রতিনিধি – ভবানীপুর উপনির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততোই বাড়ছে উত্তাপ। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এ আসনে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এ কারণেই এ নির্বাচনকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না মমতা।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) তিনি নিজের কেন্দ্রে ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন। সেখানে তৃণমূলনেত্রী বলেন,আমি না জিতলে অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আমাকে মুখ্যমন্ত্রী রাখতে ভোট দিন। আমার কাছে প্রতিটা ভোট দামি।

বুধবার ভবানীপুরে চেনা মেজাজেই ছিলেন মমতা। ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল ‘নীলবাড়ির লড়াই’-এর সময়। ভবানীপুরের জনসভায় মমতা বলেন, ২০২১-এর নির্বাচনে কৃষক আন্দোলনে জায়গা নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছিল। তাই দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে যে কী ভাবে হারানো হয়েছে তা প্রকাশ্যে আসবে।

আদালতে মামলা চলছে। জানা যাবে, আমার বিরুদ্ধে সেখানে কী করা হয়নি! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলে ভবানীপুর থেকেই হবে। এটা ভাগ্যের খেলা। আপনাদের ছেড়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সেই সূত্রেই তিনি বলেন, অনেকে ভাবছেন দিদি এমনিই জিতে যাবে। কিন্তু প্রতিটা ভোট দামি। একটা ভোট না দিলে আমার ক্ষতি হবে। ভোট না দিলে আমাকে পাবেন না। নিজেকে জনগণের ‘পাহারাদার’ আখ্যাও দিয়েছেন মমতা।

জনসভা থেকে বিজেপি-কেও আক্রমণ শানান মমতা। তাঁর হুঙ্কার, আমি মোদী-শাহকে দাদা-ভাই বলতে পারি। এটা সৌজন্য। কিন্তু তাই বলে দেশে তালিবানি শাসন মেনে নেব না। দেশে সকলে থাকবে। দেশকে টুকরো করতে দেব না। রাজ্যকেও টুকরো করতে দেব না। সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিভাজন আসতে দেব না।

উত্তরপ্রদেশের করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে এ রাজ্যের তুলনা করে একের পর এক তোপ দাগেন মমতা। পাশাপাশি ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা জারি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। একই সঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, প্রয়োজনে ত্রিপুরা, অসম, গোয়া এবং উত্তরপ্রদেশে খেলা হবে।

মমতার বার্তা, আপনাদের এক একটা ভোট আগামিদিনে দিল্লির পথে পা বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনাদের ভোট দাঙ্গাবাজদের রুখে দিতে সাহায্য করবে। এখানে গাছ পুঁতলে দিল্লিতে গিয়ে গাছ বড় হবে। এখানে গাছের চারাটা পুঁতে দিন। পাশাপাশি বিজেপি-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তোমরা যদি মনে করো তোমরা বুনো ওল, তা হলে আমরা কিন্তু বাঘা তেঁতুল

Loading