পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগ মুহূর্তে হঠাৎ করে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিতে যোগ দেন টালিউডের ‘ফাটাকেষ্ট’ মিঠুন চক্রবর্তী।  অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির নির্বাচনী প্রচারেও। বিজেপি জিতলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ পেতে পারেন এই অভিনেতা- এমন গুঞ্জন ছড়িয়েছিল সেই সময়। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল জয়ের পর চিত্রপট পাল্টে যায়। বিজেপির করুণ পরাজয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠা আর হয়ে উঠেনি মিঠুনের। তবে দেরিতে হলেও তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে পদ্মশিবিরে মিঠুনের যোগদান ও প্রচারণার মূল্যায়ন করেছে বিজেপি। দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে পদ দেওয়া হলো তাকে। বৃহস্পতিবার ৮০ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করে বিজেপি। এদের মধ্যে ৩৭ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য। একই সঙ্গে ১৭৯ সদস্যের স্থায়ী আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে গঠিত কমিটিও ঘোষণা করেছে বিজেপি। বিজেপির নতুন কমিটিতে মিঠুন ছাড়া আরও ঠাঁই পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী এবং রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বাদ পড়েছেন দলের সাবেক দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গান্ধী ও তার ছেলে বরুণ গান্ধী। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে আন্দোলনরত কৃষকদের কয়েকজনকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার ঘটনার সমালোচনার পর তাদের জাতীয় নির্বাহী কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিজেপির নতুন জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে আছেন দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর জোশী, রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নিতীন গড়কড়ি, পীযুষ গোয়েলর মতো বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। তালিকায় নতুন অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, দিল্লি থেকে এস জয়শঙ্কর এবং মীনাক্ষী লেখি, হিমাচল প্রদেশ থেকে অনুরাগ ঠাকুর এবং উড়িষ্যা থেকে অশ্বিনী বৈষ্ণব।

তথ্যসূত্র: এবিপি আনন্দ

Loading