ঋণ শোধ করার উপায়

জ্যোতিষ সম্রাট নমিতা বিশ্বাস

(কে পি অ্যাস্ট্রোলজার)

যোগাযোগ – ৯০০৭৫৩২৫৪৫/৮৬৯৭৫৮১৭৮৮

বিশ্ববাংলা সেরা ২০০৮, এশিয়ান টপ টেন, গোল্ড মেডেলিস্ট)

সব মানুষই কম বেশী ঋণগ্রস্থ। এমনকি বড় বড় কোটিপতিরাও ধার করেন। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা হল সবাই কিন্তু সম্পূর্ণভাবে ঋণমুক্ত হতে পারেন না। এমন দেখা যায় কেউ হয়তো দশ হাজার টাকা ধার করেছেন। কিন্তু সেই ঋণ বাড়তে বাড়তে লাখ টাকা হয়ে গেছে। বহু মানুষের জন্মপত্রিকার যোগ দোষে শত চেষ্টা করেও ওই ব্যক্তিরা ঋণমুক্ত হতে পারেন না। এমনটাও হয় কোনো ব্যক্তি কোন এক অশুভ সময়ে ঋণ করেছিল এবং পরিণতি স্বরূপ সে ধার শোধ করতে পারছে না, দোষ না কাটালে পারবেও না। আলোচ্য অংশে জানানো হচ্ছে আপনি কখন ঋণ নেবেন আর কখন নেবেন না, যাতে করে ঠিক সময়ে আপনি ঋণমুক্ত হতে পারেন। যেদিন বা যে সময়ে আপনি ঋণ নেবেন ঠিক করেছেন, সেই দিন বা সেই সময় আপনি ঋণ নেবার আবেদন করবেন না। নিম্নলিখিত সময় বা যোগে ঋণ নেওয়ার কথা যেমন লেখা হল সেই ঋণ নিলে খুব সবজেই ঋণ শোধ করতে পারবেন।

১। কোনো মঙ্গলবার দিন কখনো কোনো ধার করবেন না। যদিও করে থাকেন তাহলে ঋণ শোধের প্রথম কিস্তি মঙ্গলবার দিয়ে শুরু করুন।

২। কোনো সংক্রান্তিতে বা সূর্য যখন এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে প্রবেশ করছে – অনুরূপ সময়ে কখনো কোনো ঋণ করবেন না।

৩। হস্তা নক্ষত্র যোগে কখনো ঋণ করবেন না।

৪। স্থির লগ্নে ঋণ করা উচিত নয়। সম্ভব হলে চার লগ্ন – যথাক্রমে মেষ, কর্কট, তুলা ও মকর লগ্নে ঋণ করলে সেই ঋণ তাড়াতাড়ি পরিশোধ করা যায়। তাই এই চার লগ্নে ঋণ করবেন।

৫। বুধবার দিন কাউকে ঋণ দেবেন না। তাহলে নিশ্চিতরূপে সেই টাকা ডুবে যাবে, কখনো ফেরত পাবেন না।

৬। আপনি, স্বাতী, পুনর্বসু, শ্রবণা, ধনিষ্ঠা, শতভিষা, মৃগশিরা, রেবতী, চিত্রা, অনুরাধা, অশ্বিনী, পুষ্যা, বিশাখা নক্ষত্রে ঋণ নিতে পারেন। তাহলে শীঘ্রই আপনি কর্জমুক্ত হবেন।

৭। এইরূপে ‘অমৃতসিদিধ’, ‘দ্বিপুষ্কর’ অথবা ত্রিপুষ্কর যোগে কখনো ঋণ করা উচিত হবে না।

৮। আপনি বৃদ্ধি নামক যোগে কখনো কোনো ঋণ করবেন না। তাহলে ঋণ কখনো জীবনে শোধ করতে পারবেন না।

৯। প্রতিদিন সকালে শিবলিঙ্গে জল দিলে এবং বেলপাতা চড়ালে এবং সোমবারে ঘি এর প্রদীপ জ্বেলে শিবের পূজো করলে ঋণ থেকে শীঘ্র মুক্তি পাওয়া যায়।

১০। অনেক সময় গ্রহের কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায় এবং মানুষ ঋণ করে। সে আর ঋণ মুক্ত হতে পারে না এমন অবস্থায় ভালো জ্যোতিষীর পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহ শান্তি করলে ঋণ থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া যায়।

১১। শুক্রবার একটা নারকেল নীল কাপড়ে মুড়ে গঙ্গায়/নদীতে বা পুকুরের পরিষ্কার জলে ফেলে আসুন এবং মনষ্কামণা বলুন। একমাসে তিনবার এই প্রক্রিয়া করুন।

১২। আপনি যদি প্রত্যেক বৃহস্পতিবার তুলসী চারার উপর একটুখানি দুধ অর্পণ করেন আপনি অবশ্যই আর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা লাভ করবেন।

১৩। ঋণমুক্তির জন্য ছয়টি শনিবার পরপর সকালে শ্মশান ঘাটের কাছে নদী অথবা কুয়ো থেকে জল এনে অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় দিলে ঋণ থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া যায়।

Loading