নিজস্ব প্রতিনিধি- নন্দীগ্রামে নিবার্চনী প্রচারণায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট পাওয়ার ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা বলেই মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আহত হওয়ার পর মমতা প্রথম দিন নিজে এই ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করলেও ১২ ঘণ্টা পর নিজেই দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করেন। যদিও তার দল তৃণমূল কংগ্রেস এর পেছনে গভীর পরিকল্পনা দেখছে। অন্যদিকে চলতি মাসে নির্বাচনী প্রচারে এসে ভোটের মাঠ সরগরম করতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভোটের এই আবহে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী নানা কৌশলে নিজেদের প্রচারণাও শুরু করেছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে নির্বাচনী জনসংযোগ করার সময় পায়ে চোট পাওয়ার ঘটনা নিয়ে শুধু পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নয়, ভারতের জাতীয় রাজনীতিও সরগরম হয়ে উঠেছে। মমতার ওপর হামলা নাকি নিছক দুর্ঘটনা সেটি তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হন তেজস্বী যাদব, স্টেলিন থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালারা। বিজেপি শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি না করার ঘোষণা দিলেও, দলটির নেতারা প্রথম দিকে মমতার হামলার অভিযোগকে রাজনৈতিক নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন। তবে, এই তীব্র বির্তকের আগুনে অবশেষে জল ঢেলে দিল মমতার প্রশাসন নিজেই। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গড়া তদন্ত কমিটি জানাল, এটা একটা দুর্ঘটনা।