নিজস্ব প্রতিনিধি – ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ড নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি জানিয়ে আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার রাজধানীতে গিয়ে সরাসরি ডক্টর হর্ষ বর্ধনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন শুভেন্দু। ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে দাবি করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পাশাপাশি শুভেন্দু রাজ্যের দাবি উড়িয়ে জানান, ‘কেন্দ্র প্রচুর ভ্যাকসিন দিচ্ছে, বাংলাকে আরও ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। ‘ কেন্দ্রের কোউইন অ্যাপ দিয়ে ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। কিন্তু বাংলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন অকটি অ্যাপ এনেছে। এনিয়েও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শুভেন্দুবাবু। তিনি নিজেই জানান, ছত্তিশগড়ে এধরণের অ্যাপ আনা হয়েছিল, কিন্তু খবর পাওয়ার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, রাজ্যে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন চালু হলেও বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডের নামে টাকা তোলা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। এই নিয়ে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি চিঠি লিখবেন বলেও জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। প্রসঙ্গত শুভেন্দুর অভিযোগ পাওয়র পরেই বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে নবান্নে চিঠি পাঠান হয়। যেখানে , ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে অভিযোগে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে সেকথা জানতে চান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। ২ দিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার রাজ্যে শুরু হচ্ছে বিধানসভা অধিবেশন। তার আগেই বৃহস্পতিবার তড়িঘড়ি দিল্লি উড়ে যান শুভেন্দু। এনিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর আলোচনা শুরু হয়। এর আগে এর আগে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই দিল্লি গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এবং বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে এবারের সফর নিয়ে মুখ খোলেননি শুভেন্দু। কেবল জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ পাথেয় করেই তিনি এগোতে যান। এদিকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ শুভেন্দু দিল্লি যাত্র নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। কুণালবাবুর দাবি, নারদ মামলা থেকে বাঁচতেই দিল্লি গিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এনিয়ে কুণালের নাম না করে শুভেন্দু জবাব দেন, সারদায় সাড়ে তিন বছর জেল খাটা কোন লোকের কথার তিনি জবাব দেবেন না। শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে এদিন রাতেই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন শুভেন্দু অধিকারী।