নিজস্ব প্রতিনিধি – ভুয়ো নথি দেখিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ। অভিযোগের তির খোদ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক দুই নম্বর ব্লকের পঞ্চানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। আর এই ঘটনায় একটি চক্র তৈরী হয়েছে বলে এলাকার বাসিন্দদের দাবি। প্রধান রিজিয়া বিবির দাবি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপির। ইতিমধ্যে বিডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পে মাধ্যমে ১৮ বছর পার হলেই মেয়ের বিয়ের আগে বিয়ের প্রয়োজনীয় নথি জমা দিলেই ২৫০০০ টাকা পাওয়া যায়। আর সেই প্রকল্পে মালদার এই পঞ্চান্দপুর এলাকায় দেখা গিয়েছে ভুয়ো নথি দিয়ে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো হয়েছে। আর এই অভিযোগ উঠেছে খোদ শাসকদলের প্রধান রিজিয়া বিবির বিরুদ্ধে। আর এমন অভিযোগে চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনের। এই নিয়ে তিনজন অভিযোগ দায়ের করেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, সন্তানের মা হয়েছে অনেক আগে তার অ্যাকাউন্টে ঢুকছে রূপশ্রীর টাকা। চানো বিবি নামে এক মহিলার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো হয়েছে। ওই মহিলা বিবাহিতা এবং বর্তমানে চানো বিবি চার সন্তানের মা। চানো বিবির নামে মোথাবাড়িতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অভিযোগ সম্প্রতি চানো বিবির এই একাউন্টে রূপশ্রী প্রকল্পের ২৫০০০ টাকা ঢুকেছে। অভিযোগ বেনিফিশিয়ারি চানো বিবিকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাত করেছেন প্রধান রিজিয়া বিবি। আরেক জন রিনা বিবি। পঞ্চনন্দপুর এর রিন্টু শেখ এর স্ত্রী রিনা বিবি। পাঁচ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তিন সন্তার রয়েছে তাদের। স্বামী শ্রমিক। যা রোজকার হয় সংসার চলে যায়। তাদের স্থানীয় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অভিযোগ প্রধানের লোকজন মাত্র কিছু টাকা দিয়ে রিনার কাছে কিছু কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। সে দেখে ২৫হাজার টাকা পেয়েছে। আর সেই রুপশ্রী টাকা পঞ্চায়েত প্রধানের লোকজন আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনা নজরে আসতেই রাকিব শেখ বিডিওর কাছে অভিযোগ জানান। পঞ্চায়েতের প্রধান রিজিয়া বিবি জানান, অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এটা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। একট পঞ্চায়েতে প্রায় তিন হাজার মানুষ বসবাস করে। বিভিন্ন কাজের জন্য পঞ্চায়েত মেম্বারদের রিকমান্ডেশন লাগে। সরকারি আধিকারিকরা তদন্ত করে প্রধানকে রিপোর্ট দেয় । তারপরেই প্রধান সেই কাগজে সই করে। আর এর ক্ষেত্রে সমস্তটা প্রক্রিয়াটির তদন্ত করে ব্লক ও পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা। এখানে প্রধানের কোনো বিষয় নয়। বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন,রাজ্যের সমস্ত কিছুতেই টাকা লাগে। যারা গরীবের বিয়ের টাকা আত্মস্বাৎ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানাব। বিডিও অনির্বাণ সেনগুপ্ত জানান,অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Loading