নিজস্ব প্রতিনিধি – জাতীয় ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর নিকট ২০১৮-এর পর ২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গ থেকে মানুষ পাচার হওয়ার ব্যাপারে কোনো নথি বা কাগজপত্র মেলেনি। পরপর দু’বছর একই কাগজপত্র তুলে ধরা হয়েছে পরিসংখ্যানে। আমেরিকার বিদেশ দপ্তরে সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২১-এর মানব পাচার সংক্রান্ত প্রতিবেদনে ভারত বিষয়ক পরিচ্ছেদে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। শুক্রবার (২ জুলাই) রাজ্যের সমাজকল্যাণ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, মানব পাচারের বিষয়ে পুলিশ বলতে পারবে। তবে কর্তার এমন মন্তব্যে রাজ্য পুলিশের কাছে কোনো স্পষ্ট উত্তর নেই। সার্বিকভাবে ভারতে পাচার সংক্রান্ত বাস্তব এবং কাগজত্রের তথ্যের মধ্যে বিশাল পার্থক্যের দিকে আঙুল তুলেছে আমেরিকার প্রতিবেদনটি। পাচার রোধে বিভিন্ন স্তরে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। দেশটির বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হিসাবে অন্তত ৮০ লাখ মানুষ পাচারের শিকার হয়েছে। এসব নিয়ে সরকারের কাছে তেমন কোনো হিসাব নেই। হোমগুলিতে অডিট হয় না। এখনও ভারতে বেগার শ্রমিকদের সঙ্কটকে পাচার বলে স্বীকার করতে দ্বিধা রয়েছে অনেকের। ২০১৯-এ সংসদে কেন্দ্রীয় শ্রম ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক ১৯৭৬ থেকে সেই সময় পর্যন্ত বেগার শ্রমিক হিসেবে মাত্র তিন লাখের কিছু বেশি মানুষের তথ্য দেয়া হয়েছিল। ২০১৯-এ প্রমাণের অভাবে পাচারের ঘটনায় ৭৩ শতাংশ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পায়। মহামারি করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিক সংকটকে পাচার প্রবণতার হার আরও বেড়ে গেছে। এমনকি পাচারের ফাঁদ ছড়িয়ে এখন নেট মাধ্যমেও প্রবেশ করেছে। আমেরিকার প্রতিবেদনটিতে পাচার রোধে বিভিন্ন দেশের মধ্যে টিয়ার-২-তে রয়েছে ভারতসহ উপমহাদেশের অধিকাংশ দেশ। তবে পাচার রোধে ব্যর্থতা থাকলেও কিছু করার চেষ্টা করছে ভারত।