নিজস্ব প্রতিনিধি – পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর জনপ্রিয়তা বেড়েছে তৃণমূল নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এক সমীক্ষায় এ চিত্র দেখা গেছে। চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে মমতা ২১৩টি আসনে জয়ী হয়ে রেকর্ড গড়েন। আর বিজেপি জেতে ৭৭টি আসনে। যদিও বিজেপির জন্যও এটি রেকর্ড। কারণ, এর আগে রাজ্যে বিজেপির আসন ছিল মাত্র তিনটি। অন্যদিকে রাজ্যের সাবেক দুই শক্তিধর দল জাতীয় কংগ্রেস ও বাম দলগুলোকে শূন্য আসনে ফিরতে হয়েছে এবার। এটাও রেকর্ড। কারণ, এর আগে বাম দল বা কংগ্রেস কখনো আসনশূন্য থাকেনি। আর নির্বাচনের পর মমতার দুর্গে আদৌ ফাটল ধরাতে পারেনি বিজেপি। বরং বিজেপির বহু নেতা এখন আবার ভিড়তে শুরু করেছে তৃণমূলে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সাময়িকী ইন্ডিয়া টুডের আগস্টের ‘মুড অব দ্য নেশন’ সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা কমলেও বেড়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির জনপ্রিয়তা এখনো শীর্ষে। ভারতের ১৯টি রাজ্যের ১১৫টি সংসদীয় আসনের ১৪ হাজার ৫৫৯ ভোটারের মতামত নেওয়া হয় ওই সমীক্ষায়। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে আর ৫০ শতাংশ ভোটারের টেলিফোনে সাক্ষাৎকার নিয়ে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে ইন্ডিয়া টুডে। যাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৭১ শতাংশ গ্রামীণ ও ২৯ শতাংশ শহুরে ভোটার। ইন্ডিয়া টুডে প্রতিবছর দুবার এই মুড অব দ্য নেশন সমীক্ষা করে। একটি জানুয়ারি মাসে আর অন্যটি আগস্ট মাসে। এই আগস্ট মাসের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালের আগস্টে মোদির জনপ্রিয়তা ছিল ৬৬ শতাংশ। এবার চলতি আগস্টে তা কমে হয়েছে ২৪ শতাংশ। আর গত জানুয়ারিতে মোদির জনপ্রিয়তার হার ছিল ৩৮।  অন্যদিকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে মমতার জনপ্রিয়তা এবার উঠে এসেছে চতুর্থ স্থানে। এই চতুর্থ স্থানে তাঁর সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গত বছরের আগস্টে মমতার স্থান ছিল সপ্তম এবং কেজরিওয়ালের ষষ্ঠ।

চলতি আগস্টের সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে জনপ্রিয়তার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন উত্তর প্রদেশের বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। আর পঞ্চম স্থানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আবার মমতার গত বছরের আগস্ট মাসে এই হার ছিল মাত্র ২। আর গত জানুয়ারিতে এই হার ছিল ৪। এই আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ শতাংশে। রাহুল গান্ধির গত বছরের আগস্টে ছিল ৮ শতাংশ। এই আগস্টে তা বেড়ে হয়েছে ১০ শতাংশ।

Loading