জুলফিকার আলী , পাঁশকুড়া – পাঁশকুড়া পৌরসভার ১৮ নং ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার সুকুমার ভূঞা বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাঁশকুড়ার রাতুলিয়ার বিজেপির নির্বাচনী জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেয়। কিন্তু নির্বাচনে বিজেপির ফল খারাপ হওয়ার পর একপ্রকার গৃহবন্দী ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে কেউ বা কারা ওই সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া পাঁশকুড়া পৌরসভার ১৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুকুমার ভূঞার বিরুদ্ধে দুর্নীতির পোস্টার পড়ে, যে পোস্টারে একাধিক দুর্নীতির কার্যকলাপ সহ তাঁকে মারধর করা হবে এমনটাই হুমকি দিয়ে লেখা রয়েছে ওই পোস্টারে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির কার্যকলাপের অভিযোগে পোস্টার পড়ল পাঁশকুড়া পৌরসভা এলাকার ১৮ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায়।
সরকারী বাড়ি দেওয়ার নামে টাকা তছরুপ,বার্ধক্যভাতা দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাত ,সরকারী বাথরুমের টাকা,আম্ফান ঝড়ের অনুদানের টাকা সহ , সরকারী চাল,ত্রিপল সহ নানান সরকারী অনুদান আত্মসাত করার কারনে তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় পোস্টার পড়লে এলাকার মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় । এমনকি সরকারি পরিষেবা দেওয়ার নামে টাকা হাতানোর অভিযোগ ওঠে, এই পোস্টারে। পাঁশকুড়া পৌরসভার ১৮ নং ওয়ার্ডের ভবানিপুর, তিলন্দপুর সহ বেশকিছু এলাকায় একাধিক বিদ্যুতের পোস্টে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার পড়ে। তবে এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হতে চাননি ওই কাউন্সিলর বিজেপি নেতা সুকুমার ভূঞা। তবে পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র বলেন তৃণমূলে ছিলেন বিজেপিতে চলে গিয়েছেন,তাঁর বিরুদ্ধে কেন পোস্টার পড়ল আমি জানি না ,তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি বিষয়ের সত্যতা কি, তবে নিশ্চই দুর্নীতি করেছে,তাই এমন পোস্টার পড়েছে।
বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি প্রতিক পাখিরার অভিযোগ তৃণমূলে থাকা কালীন কোনো অভিযোগ নেই, যখনই বিজেপিতে যোগ দিলেন তখনই দুর্নীতির পোস্টার পড়ে। গোটা পাঁশকুড়া পৌরসভা জুড়ে ১৮ টা ওয়ার্ডেই দুর্নীতি চলছে। এখানে মিথ্যে অভিযোগের কাদা ছেটানোর চেষ্টা করছে বিজেপিকে রুখে দেওয়ার জন্য। আমরা এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব।