শান্তি রায়চৌধুরী : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পাকিস্তানকে সমর্থন করায় শেষ পর্যন্ত তাকে যোগী রাজ্যের জেলেই যেতে হলো, সেই সঙ্গে চাকরিও হারাতে হলো! হ্যাঁ, তিনি হলেন রাজস্থানের উদয়পুরের নিরজা মোদি স্কুলের শিক্ষিকা নাফিসা।

সেদিন ম্যাচ শেষে ভারতের বিরুদ্ধে জয় পায় পাকিস্তান। হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে পাকিস্তানের সেই জয় উদযাপন করাই কাল হলো তার। খেলার এক সপ্তাহ পর সবশেষ কারাগারেই জায়গা পেলেন তিনি। এছাড়া একই অপরাধে হারিয়েছেন চাকরিও।

সেদিন উদয়পুরের অম্বা মাতা থানা পুলিশ নাফিসাকে গ্রেফতার করে। অম্বা মাতা থানার পুলিশ কর্মকর্তা নরপত সিংহ জানান, নাফিসাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ বি (জাতীয় সংহতি বিরোধী) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাকে আদালতে তোলা হলে তার জেল হয়।

২৪ অক্টোবর পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হারে ভারত। সেদিন নাফিসা তার হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘জিত গ্যায়ে…. উই ওয়ান’ (আমরা জিতে গিয়েছি)। এই হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস তার কোনো এক ছাত্রের বাবার নজরে আসে। তিনি বাকিদের তা পাঠিয়ে দেন। এরপর এটি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।

‘অপরাধ’-এর জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন নাফিসা। রাজস্থানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘‘সে দিন একজন আমার স্ট্যাটাস দেখে হোয়াটসঅ্যাপেই জানতে চেয়েছিলেন, আমি পাকিস্তানকে সমর্থন করছি কি না। সাথে কিছু হাসির ইমোজিও ছিল। মনে হয়েছিল হাল্কা মেজাজে মজা করে আমাকে এই প্রশ্ন করা হয়েছে। আমিও হাসতে হাসতেই বলেছিলাম ‘হ্যাঁ’। কিন্তু তার মানে তো এই নয় যে, আমি পাকিস্তানকে সমর্থন করি। আমি ভারতীয়। ভারতকে ভালোবাসি।’ কিন্তু সব বৃথা গেল নাসিফার। শেষ পর্যন্ত আদিত্যনাথ যোগী রাজ্যের কারাগারেই যেতে হল।

Loading