নিজস্ব প্রতিনিধি – পশ্চিমবঙ্গের পর এবার ভারতের আরেক রাজ্য ত্রিপুরায় আঁটঘাঁট বেঁধে ‘খেলতে’ নামছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। আইপ্যাক বিতর্ক কাটতে না কাটতেই সোমবার আগরতলায় পা রাখছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী, তৃণমূল দলীয় এমপি ডেরেক ও’ব্রায়েন, যুব তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্যরা একেবারে মাঠে নেমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বিজেপি অবশ্য শুরু থেকেই তৃণমূলকে কটাক্ষ করছে। দলটি বলছে, ত্রিপুরায় তাদের সংগঠনের সিকিভাগও তৃণমূলের নেই। কিন্তু উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের রাজনৈতিক মহল বলতে শুরু করেছে, ‘খেলা’ ঘোরাচ্ছে তৃণমূল। ক্রমেই বিরোধী পরিসর বাম বা কংগ্রেসের কাছ থেকে নিজেদের দিকে টেনে নিচ্ছে তারা। আর তা করতে গিয়ে কংগ্রেস ও বামদের ঘর ভাঙাচ্ছে তারা। তাতে সাফল্যও মিলছে। এমনকী কংগ্রেসের বহু হেভিওয়েট নেতাই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর বেরিয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে কংগ্রেসের ভিত্তি ধরে রাখতে ত্রিপুরার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ বিশ্বাসকে ফোন করে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন সোনিয়া গান্ধীর ঘনিষ্ঠ নেতা বেনুগোপাল। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, তৃণমূলের নির্বাচনি উপদেষ্টা প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক-এর ২৩ জন কর্মকর্তাকে হাউস অ্যারেস্ট করে রাখার পর তাদের ছাড়াতে আদালতে সওয়াল করেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষ বিশ্বাস। মহামারি আইন ভাঙতে পারে এই যুক্তিতে তাদের জামিনের বিরোধিতা করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। যদিও সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি।

Loading