নিজস্ব প্রতিনিধি – নারদ মামলায় গঠিত হলো পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ । কলকাতা হাই কোর্টের পাঁচ বিচারপতি এই বৃহত্তর বেঞ্চে রয়েছেন। সোমবার সলকাল ১১টায় সমস্ত মামলার শুনানি শুরু হবে। এই বৃহত্তর বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, হরিশ ট্যান্ডন, সৌমেন সেন, অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রাপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। এরা সবাই হলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রবীণ বিচারপতি। শুক্রবার নারদ মামলার শুনানির সময় বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নারদ মামলার অভিযুক্ত ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জামিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এই সময় বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এই রায় সম্পর্কে নিজের অমতের কথা জানান। এই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চান সিবিআই-র পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়, এই চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর জামিন হবে না। এদের জেল থেকে ছেড়ে গৃহবন্দি রাখা হবে।
দুই বিচারপতির জামিন নিয়ে মতভেদের কারণে জামিনের মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতোই শুক্রবার সন্ধেয় বৃহত্তর বেঞ্চ তৈরি হয়। মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে হাই কোর্ট। সেখানেই অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজেশ বিন্দালের পাশাপাশি থাকছেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, হরিশ ট্যান্ডন ও সৌমেন সেন। আগামী সোমবার সকাল ১১টায় হবে পরবর্তী শুনানি।
এদিকে আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, সোমবার সকালে এই মামলার শুনানি শুরু হবে। প্রথম থেকে এই মামলার শুনানি হবে। এর ফলে গত সোমবার থেকে নারদ মামলার পুরো সওয়াল যে ভাবে হয়েছে, সে ভাবেই আবার নুতুন করে নারদ মামলা শুরু হবে। চার জন নেতা-মন্ত্রীর জামিনের স্থগিতাদেশ নিয়েই শুরু হবে মামলার শুনানি। সোমবার সকাল এগারোটায় শুনানি শুরু হবে বলে ঠিক আছে। এই বৃহত্তর বেঞ্চে সিবিআই ও অভিযুক্তদের আইনজীবীরা সওয়াল করবেন। থাকবেন সিবিআই-র পক্ষে তুষার মেহতা, অভিযুক্তদের তরফে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আইনজীবীরা। রাজ্যের সবার নজর রয়েছে এই মামলার দিকে।