কিছু ব্যথা মানুষের দেহে  দীর্ঘসময় ধরে  থাকে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও ব্যথার উৎস ধরা পড়ে না।  ঘাড়, কাঁধ, মেরুদণ্ডসহ শরীরের এসব ব্যথা অনেকদিন ভোগায়।

মনে রাখবেন সব ঘাড়ের ব্যথার উৎস সারভাইক্যাল স্পাইন নয়, সব কাঁধের ব্যথা ফ্রোজেন শোল্ডার নাও হতে পারে ; আর সব কোমরের ব্যথা  মেরুদণ্ডের সমস্যা নয়— এসব ব্যথাকে মায়োফেসিয়াল পেইন সিনড্রোম বলা হয়ে থাকে।

* ঘাড়ের ব্যথা, কাঁধের ব্যথা অথবা কোমর ব্যথার উৎস যখন খুঁজে পাওয়া যায় না।
* যে ব্যথা এক্সরে এমআরআইতে সাধারণতঃ ধরা পড়ে না।
* পরীক্ষা নিরিক্ষায় অস্বাভাবিকতা খুজে পাওয়া যায় না।
* বাতজনিত কিংবা ফাইব্রোমায়ালজিয়া বলা  যায় না।
*  দীর্ঘ দিন রোগী অপ্রয়োজনীয় ব্যথার ওষুধ খান।  ওই ব্যক্তিকে মানসিক রোগী বলে অনেকে সন্দেহ করে, সেটিই মায়োফেসিয়াল পেইন সিনড্রোম।
সমস্যা
* নির্দিষ্ট একটি জায়গায় ব্যথাটা দীর্ঘদিন থাকে।
* ওই  স্থানে চাপ দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি চিৎকার করে উঠবে।
* ব্যথার ওপরের মাংসপেশিগুলো শক্ত হয়ে যায়।
* কোনো কারণ ছাড়াই সে স্থানের মাংসপেশি দুর্বল মনে হবে।
* ব্যথার স্থানে চাপ দিলেও আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে হবে।
* ঘাড় নাড়ানো যায় না, ঘাড় নাড়ালেই ব্যথা অনুভব হয়, কোমরের অথবা শরীরের নির্দিষ্ট একটি পয়েন্টে বারবার ব্যথা অনুভূত হচ্ছে।

রোগের কারণ

প্রকৃত কারণ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন।  কোনো কোনো সময় শরীরের অন্য কোনো অঙ্গের সমস্যা অথবা কানেক্টিভ টিস্যুর রোগের জন্য হতে পারে।  বেশিরভাগ সময়ে  কোনো আঘাত অথবা ওভার ইউজ অথবা ওভার স্ট্রেস থেকে এ সমস্যা দেখা দেয়।  কোনো দুর্ঘটনা কিংবা মোটরবাইক চালনা, ভারি জিনিস তোলা বা বহন করা, বেকায়দায় বসা বা কোনো খেলাধুলাজনিত কারণে এই ব্যথা হতে পারে।

চিকিৎসা

আধুনিক কিছু  চিকিৎসায় পজিশনাল রিলিজ অথবা ডিপ টেন্ডন ফ্রিকশন মেসেজ মুহূর্তে ব্যথা কমিয়ে দিতে পারে।  আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি যথেষ্ট সহায়ক।  শুধু ব্যথার ওষুধ বা মাসল রিলাক্সেন্ট খেয়ে এই ব্যথার  কোনো সমাধান হবে না।

Loading