নিজস্ব প্রতিনিধি – আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘যশ’। এখনও অব্দি ধারণা করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূলের সীমান্তবর্তী কোথাও আছড়ে পড়তে পারে। অথবা আছড়ে পড়তে পারে শুধু পশ্চিমবঙ্গে। যদি শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসে তাহলে তা আছড়ে পড়তে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার সুন্দরবনে। আর দুই রাজ্যের সীমান্তে আছড়ে পড়লে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মেদিনীপুর জেলা। তবে সঠিক কোনদিকে অভিমুখ পাল্টাবে তা জানা যাবে ২১ তারিখে। তবে যে দিকেই আছড়ে পড়ুক পরবর্তীতে গতিপথ পরিবর্তন করে যাবে বাংলাদেশে। এখন অব্দি এরকমই ধারণা করা হচ্ছে।
ঠিক এক বছর আগে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা। সবচেয়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’এর ভ্রুকুটি রাজ্যের সামনে। আগামী ২৫-২৬ মে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশার মধ্যে আছড়ে পড়বে ঘুর্ণিঝড় যশ। তাকে মাথায় রেখে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা সেরে রাখতে চায় কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে প্রশাসন।
কলকাতা পৌরসভায় আপদকালীন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘুর্ণিঝড় যশ মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে। সেখানে পানি সরবরাহ, আলো, উদ্যান, নিকাশি- মূলত এই বিভাগগুলিকে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখতে বলা হয়েছে। সাধারণত ১ জুন থেকেই বর্ষার প্রস্তুতি নেয় পৌরসভা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে আগামীকাল অর্থাৎ ২১ তারিখ থেকেই সেই প্রস্তুতি নিতে চলেছেন তারা।